সুইটি রায়:বর্তমান সময়ে করোনার করাল গ্রাসের শিকার গোটা বিশ্ব। আমরা ভারতবাসীরাও সে আক্রমণ থেকে আত্মরক্ষা করতে পারিনি। যদিও ভারতের মতো এক উন্নয়নশীল দেশের নাগরিক হয়েও করোনার বিরূদ্ধে আমরা দৃষ্টান্তমূলক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি, আর এই লড়াই এ আমাদের পাশে পেয়েছি পুলিশ,প্রশাসন, ডাক্তার,নার্সদের মতো সমাজসেবীদের। অনেক সাধারণ মানুষও এই যুদ্ধে নিজেকে এগিয়ে দিয়ে অসাধারণ হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ববৃন্দ এবিষয়ে ‘মূক ও বধিরের’ ভূমিকা পালন করছেন।মহামারীর এই চরম দুঃসময়ে সত্যিই যেন তাঁরা ‘মাস্কের’ মধ্যে নিজেদের ক্ষমতাকে বন্দি করে ফেলেছেন। লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরিয়ে পুলিশের হাতে মার খাচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষ যাদের অনেকে হয়তো লকডাউনের মানেই জানে না।
এটাও জানে না যে বর্তমানে সারা পৃথিবীর সমস্যা ‘করোনা ভাইরাস ‘ ঠিক কতখানি ভয়াবহ। অনেকেরই দিন-আনি দিন- খাই পরিস্থিতি।প্রতিদিন কাজে না বেরোলে না খেয়েই দিন কাটাতে হয় পরিবারের সবাইকে। পরিবারের অন্নের সংস্থান করতে বেরিয়ে পুলিশের হাতে মার খেয়ে এখন তাকে ভাতের সাথে ক্ষত সারানোর ওষুধের সংস্থান ও করতে হবে। এই অবস্থার প্রতিকারের জন্য স্থানীয় নেতৃত্ববৃন্দরা কি সত্যিই কিছু করতে পারেন না?তাঁরা কি পারেন না নিজেদের এলাকার মানুষদের করোনার ভয়াবহতা বুঝিয়ে তাদের সচেতন করতে? বা তাদের জন্য দু-মুঠো অন্নের ব্যবস্থা করে দিতে? তা করলে হয়তো সাধারণ মানুষগুলোকে এভাবে মার খেতে হত না।অথচ সাধারণ মানুষ নিজেদের সুখে-দুঃখে এনাদের কথাই বেদবাক্যের মতো মেনে চলে।
এনারা হয়তো চাইলেই পারেন নিজের পাড়া,নিজের পঞ্চায়েত, নিজের গ্রামের মানুষদের সচেতন করতে। তাদের পাশে দাঁড়াতে।কিন্তু সেই তাগিদ কারোর মধ্যেই বিশেষভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে না।তাঁরা কি বিশ্ব মহামারী থেকে নিজেকে এবং নিজের পরিবারকে রক্ষা করতেই নিজেদের গৃহবন্দি করে রাখছেন নাকি জনতার সাথে কোনোরকম ঝামেলায় জড়িয়ে তাদের বিরাগভাজন হতে চান না তাঁরা?