সুইটি রায়:লকডাউনের সময় বাড়িতে নিমন্ত্রিতদের নিয়ে ভুরিভোজ করার অভিযোগ উঠেছিল দাসপুর রাজনগরের এক পরিবারের বিরুদ্ধে। কিন্তু তদন্তে নেমে ভুরিভোজের কোনও প্রমাণ পাওয়ার পরিবর্তে এক অন্য ছবি ধরা পড়ল।
জানা গিয়েছে, আজ ওই গ্রামের বাসিন্দা তথা সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পের আধিকারিক(CDPO) অরুণাভ মাইতির বাড়িতে একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগেই কে বা কারা পুলিশের কাছে অভিযোগ তোলে, অরুণাভবাবু নাকি এলাকার বেশকিছু মানুষকে নিমন্ত্রণ করে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন।
বর্তমানে জমায়েত কোনও ভাবেই কাম্য নয়। তাই পুলিশ ওই অভিযোগ পেয়ে, সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ভিলেজ পুলিশের মাধ্যমে এলাকায় খোঁজ নিতে শুরু করে। পরে জানা যায়, ঘটনা কিছুটা সত্য হলেও করোনা সংক্রমণ রোধে ছিল বিশেষ ব্যবস্থাও।
জানাগেছে আজ অরুণাভবাবুর স্ত্রীর সাধ ভক্ষণ অনুষ্ঠান ছিল। অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোনও রকম হৈহুল্লোড়ই হয়নি। কয়েক জন পারিবারিক শুভানুধ্যায়ী ওই অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর স্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে ছিল বিশেষ ব্যবস্থা। হাতে স্যানিটাইজার,মুখে মাস্ক পরে তবেই অরুনাভবাবুর স্ত্রীকে ১ মিটার দূর থেকে শুভেচ্ছা জানানো যাচ্ছিল। দুপুরের পরিবারের সদস্যদের খাবার ব্যবস্থা থাকলেও সেখানেও করোনা রোধে বিশেষ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ছিল। ১ মিটার অন্তর গণ্ডী সেই গণ্ডীর মধ্য দিয়ে বাড়ির ছোটোরা তাদের খাবার নিয়ে যায়। আর বড় ও বয়স্কদের খাবার তাদের বাড়িতেই পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য অরুনাভবাবু বাবা ও ভাইয়ের সাথে থাকেন কিন্তু তাঁর বাবা কাকারা যৌথ পরিবারে থাকেন না। সবাই আলাদাভাবেই থাকেন। অরুনাভবাবুর বাবা তপন মাইতি জানান,বাড়িতে কিছু উৎসব অনুষ্ঠানের সময়ই তাঁরা একসাথে খাওয়া দাওয়া করেন। কিন্তু এই করোনা রোধে তাঁদের এই বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হল। তাতেও কেউ বা কারা প্রশাসনে অভিযোগ করল।
এ বিষয়ে আধিকারিক অরুনাভবাবু বলেন, শিশু ও নারীর স্বাস্থ্য ও পুষ্টি দেখাই আমার কাজ। তাই স্বাস্থ্যের বিষয়টি আমি ভালোভাবেই বুঝি। আজকে অনুষ্ঠানের জন্য যেটুকু না করলেই নয় সেটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনেই করেছি।