অরুণাভ বেরা : মাথায় তৃণমূল কংগ্রেসের পাগড়ীতে লেখা ‘ঘাটাল লোকসভা’। পাঞ্জাবি জুড়ে ‘ দেব – দেব’ লেখা। বুকে বড়োসড়ো জোড়া ফুল। তৃণমূলের প্রতীক সহ উত্তরীয় এবং কিছুটা গাউন এর মত ঝোলানো তৃণমূলের পতাকা। এ রকমই অভিনব পোশাকে ভোটের বাজারে নজর কাড়ছেন ঘাটালের লক্ষ্মীদা। লক্ষ্মী কর্মকার। লক্ষীবাবু ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাই স্কুলের অস্থায়ী কর্মী।তিনি তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। লক্ষীবাবু অভিনবত্ব আরও আছে। তিনি তৃণমূলের জেতার বিষয়ে একশো ভাগ নিশ্চিত। তাই আগে ভাগেই তিনি তৃণমূলের প্রতীক সহ শাড়ি তৈরি করেছেন। বিজয় মিছিলে তিনি মহিলা সেজে বেরোবেন। কলকাতা থেকে পরচুল কিনে এনেছেন। লক্ষীবাবু এরকম পোশাক দেখে, স্বয়ং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দেব তার প্রশংসা করেছেন। লক্ষীবাবু তিন রাত জেগে পাঞ্জাবিতে নিজে রংতুলিতে দেব দেব লিখেছেন। তার মেকআপ করতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা। গালেও তৃণমূলের প্রতীক থাকে। তিনি এতই দলকে ভালবাসেন যে, সবুজ নখপালিশ পরেন, সবুজ তিলক কপালে আঁকেন। শুধু তাই নয, বিভিন্ন মন্দিরে দেব ও মমতার নামে পুজো দিয়েছেন। তাঁদের হয়ে তিনি পুষ্পাঞ্জলী দিয়েছেন। ব্রিগেডের তার এই পোশাক দেখে অনেক ছবি তুলেছেন। লক্ষীবাবুর হাতে থাকে তৃণমূলের প্রতীক আঁকা কফি মগ। তিনি প্রচারে গেলে কফি মগে জল খান। তিনি দলকে ভালবাসেন, এটাই তার প্রথম ও শেষ কথা। কোথাও বেরোনোর আগে মমতাকে প্রণাম করেন। তৃণমূলের প্রতীক আঁকা ছাতা ব্যবহার করেন।লক্ষী বাবু কি বলছেন! তার বক্তব্য, তৃণমূল আর মমতা আমার প্রাণের অংশ। এখন তিনি অপেক্ষা করছেন বিজয় মিছিলের জন্য যেদিন তার সাজ হবে আরো দারুণ।