তনুপ ঘোষ, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: শিলাবতী নদীর জলের তোড়ে দু’মাস আগে ভেঙে গিয়েছে যোগাযোগের একমাত্র কাঠের সাঁকো। আর সেই সাঁকো ভেঙে যাওয়ার পরে চরম দুর্ভোগে প্রায় ৫০ টি গ্রামের বাসিন্দারা। যাতায়াতের একমাত্র উপায় একটিমাত্র নৌকা। তাও আবার নিজের গাঁটের পয়সা খরচ করে পারাপার করতে হয় প্রতিনিয়ত। একবার নদী পারাপার করলে লাগে মাথাপিছু পাঁচ টাকা করে। আর মোটর বাইক থাকলে ১০ টাকা। কিন্তু গ্রামের মানুষদের এমনই দুর্ভোগের কথা প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েও মেলেনি সুরাহা। গ্রামবাসীদের কাতর আকুতি প্রশাসন তাঁদের কথা দ্রুত ভাবুক। পারাপারের ক্ষেত্রে সমস্ত দায়িত্বভার গ্রহণ করুক প্রশাসনের আধিকারিকরা। এমনকি দ্রুত এই কাঠের পোল মেরামত করা হোক।
এমনই ঘটনা চন্দ্রকোনা-২ ব্লকের ভগবন্তপুর এলাকায়। ভগবন্তপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর ওপরে কাঠের সাঁকো ছিল আর এই কাঠের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে সাত থেকে আট হাজার মানুষ কারণ শুধু চন্দ্রকোনা-২ ব্লক নয়,এছাড়াও বেশকিছু এলাকার মানুষ অতি সহজেই হুগলির সাথে যাতায়াতের জন্য এই রাস্তাটিকে বেছে নিয়েছিল। কিন্তু এই শিলাবতী নদীর ওপরে কাঠের সাঁকো ভেঙে যায় চরম বিপাকে পড়েছেন তাঁরা।
এলাকার মানুষজনদের দাবি, ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে তাঁরা দাবি তুলেছিল যে এই এলাকায় একটি কংক্রিটের ব্রিজ তৈরি করা হোক। কিন্তু বারবার বাম আমলে কেউ এই দাবি তোলার পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ভোট আসলেই মেলে প্রতিশ্রুতি কিন্তু কাজ বাস্তবায়িত না হওয়ায় এলাকার মানুষদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম ক্ষোভ।