তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: গাঁটের টাকা খরচ করে দুটি ব্লকের শতাধিক গ্রামের মানুষের পারাপারের একমাত্র পথ সাহেবঘাট, ব্যক্তিগত মালিকানায় প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা টোল আদায় হলেও সরকারি তহবিলে লবডঙ্কা। টাকা যাচ্ছে শাসক ঘনিষ্ঠদের পকেটে। সাধারণ মানুষের ব্রিজ তৈরির দাবি কেবলই স্বপ্ন, ভোট এলেই শোনা যায় ব্রিজ তৈরি নিয়ে মঞ্চ কাঁপানো ঝড় তোলা প্রতিশ্রুতি।
ঘাটালের সাহেবঘাট, ঘাটাল ও দাসপুর ব্লকের শতাধিক গ্রামের মানুষ নির্ভরশীল এই সাহেবঘাট ব্রিজের উপর, প্রতিদিন গাঁটের টাকা খরচ করেই চলে তাঁদের যাতায়াত। সরকারি ভাবে পারাপারের কোনও ব্যবস্থা নেই এখানে। পাকাপাকিভাবে ব্রিজ তৈরির দাবিতে দশকের পর দশক আন্দোলন করেও কোনও ফল হয়নি। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত, ব্লক প্রশাসন, জেলা শাসকের দপ্তরে লাগাতার দরবার করেও কোনও সদুত্তর মেলেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। এমনকি ব্রিজ তৈরির দাবিপত্র মন্ত্রী আমলাদের জানিয়েও আশ্বাস ছাড়া কিছুই মেলেনি।
জানা যায়, কয়েকবছর আগে পাকাপাকিভাবে ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নিয়ে জেলা প্রশাসনের তরফে সয়েল টেষ্ট করা হয়েছিল এখানে। এলাকার মানুষ তখন ভেবেছিলেন এবার নিশ্চয়ই ব্রিজ তৈরি হবে। কিন্তু কোনও অজানা কারণে ব্রিজ তৈরির কোনও অগ্রগতি আর দেখা যায়নি। স্থানীয়দের ক্ষোভ ভোট আসে ভোট যায়। সাহেবঘাটে পাকা ব্রিজ তৈরি কেবল প্রতিশ্রুতি হিসেবেই থেকে যায়। এই নিয়ে ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারি সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন, সাহেবঘাট ব্রিজের জন্য সাধারণ মানুষ অনেক কষ্ট করেছে, যেকোনও মূল্যে সাহেবঘাট পাকা ব্রিজ তৈরি করা হবে। অনেক কষ্টের পর মনশুকা ব্রিজ তৈরি হতে চলেছে। সেই কাজ শেষ হলেই সাহেবঘাট ব্রিজের কাজও শুরু হবে।
টোল আদায় নিয়ে তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশীষ হুদাইত জানিয়েছেন, টেন্ডারে কেউ অংশ নেয়নি, তাই যাত্রী পরিষেবার কথা ভেবেই কয়েকজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এখন দেখার সরকারি উদ্যোগে কবে সাহেবঘাটে শিলাবতী নদীর উপর ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেয় সরকার তার দিকেই তাকিয়ে এলাকার মানুষ।