হাবিব মল্লিক:ঘাটালের মানুষের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন দেব। এবার সেই আশ্বাসই রাখলেন তিনি। ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ দীপক অধিকারী। যিনি দেব নামেই বেশি পরিচিত। করোনা নিয়ে আতঙ্কিত গোটা বিশ্ব। ভারতেও তার প্রভাব কম পড়েনি। রাজ্যের ছবিটাও কিছুটা ভয়াবহ। ঘাটাল মহকুমার চারজন আক্রান্ত এই ভয়াল করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারমধ্যে দাসপুর-১ ব্লকের নিজামপুরের ছিলেন তিন জন। নিজামপুরের দুজন সুস্থ হয়ে ফিরলে, ঘাটাল মহকুমার বাসিন্দারা যতক্ষণে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেই সময়ই খোদ ঘাটাল মহকুমা শহরের উপর ভয়াল করোনার থাবা পড়ল। এবার থাবা বসিয়েছে অ্যাম্বুলেন্স চালকের উপর। যে যুবকটি আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর পেশার বিষয়টি বিশ্লেষণ করে দেখলেই সহজেই অনুমান করা যাবে তাঁর কাছ থেকে বহু মানুষের সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে ঘাটাল এবং দাসপুর থানার পুলিশ প্রশাসনসহ স্বাস্থ্য বিভাগের বেশকিছু কর্মচারী এলাকা স্যানিটাইজেশন, সাধারণ মানুষের পাশে থাকা, বিধি-নিষেধ মেনে চলার বার্তা দিয়ে চলেছেন। কখনও-সখনও উগ্ররূপও ধারণ করতে হয়েছে প্রশাসনকে। তবে সাধারণ মানুষের একাংশ যেমন আতঙ্কে অসহায়তা সাথে দিন কাটাচ্ছে, অপরাংশ ঠিক উল্টোটা করে বেড়াচ্ছে। একেবারে উদাসীনতার চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে নিজেদের। তবে তাদের জন্য প্রশাসন সর্বদা সজাগ রয়েছে।
এহেন পরিস্থিতিতে এলাকার সাংসদ দীপক অধিকারী তথা দেব বিভিন্নভাবে ঘাটালের পাশে দাঁড়িয়েছেন। ঘাটাল লোকসভা এলাকায় করোনা মোকাবেলায় এককালীন কোটি টাকার বরাত সহ জেলাশাসকের দপ্তরে জেলার জন্য সহায়তা দিয়েছেন। এতদিন মেদিনীপুর শহরের আবাসের করোনা হাসপাতালে ভর্তি হলে তাদের টেস্টিং পাঠানো হতো কলকাতায়, তার রিপোর্ট আসতে দেরি হতো প্রায় ২৪ ঘন্টা ফলে চিকিৎসা শুরু করতেও দেরি হতো । এবার মেদিনীপুরে ভর্তি করোনা সন্দেহভাজনদের দ্রুত টেস্টিং এর জন্য মেদিনীপুর শহরের মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে টেস্টিং পরিকাঠামোর প্রয়োজনীয় মেশিনপত্রর ব্যবস্থা করলেন দেব। প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই পরিকাঠামো। ঘাটালবাসীর কথায়, এর আগে কোনো সাংসদ আমাদের জন্য এইভাবে এগিয়ে আসেননি। সাংসদ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে জানান, বন্যার বিপর্যয়ের সময় থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমস্যায় ঘাটালের মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন সাংসদ দেব।এদিকে মেদিনীপুরে টেস্টিং হলে দ্রুত রেজাল্ট পাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ফলে চিকিৎসা ও দ্রুত শুরু করতে পারবে তারা। এ বিষয়ে ঘাটালের সাংসদ প্রতিনিধি রামপদ মান্না বলেন, প্রয়োজনীয় মেশিনপত্রের জন্য বরাদ্দ টাকা দেওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। শীঘ্রই টেস্টিংয়ের কাজ শুরু হবে মেদিনীপুর করোনা হাসপাতালে।