তৃপ্তি পাল কর্মকার:অর্ণব জানার শরীর খারাপের কথা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে বহু মানুষ নানা ভাবে এগিয়ে এসেছেন। প্রত্যেকেই অভিনন্দন! সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে আমরা যে পরস্পরের অসময়ে পাশে দাঁড়াতে পারি সেটা এই ঘটনায় প্রমাণ হল। অর্ণবকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় ব্যাঙ্গালুরুতে অপারেশন টেবিল পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার পেছনে যিনি বিগত ১০দিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে লেগে রয়েছেন তিনি হলেন বলরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা শ্রাবন্তী রায়। তিনিই উদ্যোগ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করার ব্যবস্থা করেন। শুধু তাই নয় বিভিন্ন সময়ে আর্থিক সহযোগিতা ছাড়াও ব্যাঙ্গালুরুতে যাওয়ার জন্য প্রায় ৩০ হাজার টাকা দিয়ে প্লেনের টিকিটও কেটে দেন। এখনও পর্যন্ত তিনি রোগীর পরিজনদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রেখে চলেছেন। অর্থের জন্য একে-ওকে ফোনে আবেদন করে চলেছেন। দ্বিতীয় নামটি বলতে হয় ব্যাঙ্গালুরুতে কর্মরত বর্ধমানের বাসিন্দা সুব্রত রায়ের। অর্ণবকে কেন, তিনি হয়তো ঘাটালকেই সেভাবে জানতেন না। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টটি দেখে অর্ণবকে ভর্তির বিষয়ে সহযোগিতা করার ‘কমেন্ট’ করেন। শ্রাবন্তীদেবী তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রেখেছিলেন। ৫ জুলাই অর্ণব ও তার বাবা-মা ব্যাঙ্গালুরুতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সুব্রতবাবু তাঁদেরকে রিসিভ করে ব্যাঙ্গালুরুর একটি বিখ্যাত হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করেন। অফিস ছুটি নিয়ে সকাল থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত হাসপাতালেই ছিলেন। হাসপাতাল ওই রোগীকে ভর্তি নিতে অস্বীকার করলে সুব্রতবাবু অনুনয়-বিনয় করে রোগীকে ভর্তি করানোর ব্যবস্থা করেন। অনেকেই ব্যক্তিগতভাবে, তাঁদের সংগঠন এবং প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা করেছেন। সেটা আমরা অর্ণবের বাবা সীতারামবাবুর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকেই জানতে পেরেছি। কিন্তু বেশিরভাগই তাঁদের ট্রান্সজেকশনের রিসিপ্ট আমাকে পাঠাননি। যাঁরা পাঠিয়েছেন কথা মতো তাঁদের নামগুলিই পোস্ট করা হল। কোটালপুরের শান্তনু সানকি(১০০), বিভাষ মণ্ডল(৫০০), জোতকানুরাম গড়ের হরেকৃষ্ণ মণ্ডল (১০০০), সন্দীপ মাইতি(২০০), ঘাটালের সৌরভ সাহা(২৫০), ঘাটাল পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর পোড়িয়া (১০,০০০), বেটাগ্রামের উৎপল বিশ্বাস(৩০০), ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের শিক্ষক শঙ্খদীপ মুখোপাধ্যায়(১০০০), পাঁচবেড়িয়ার নির্মলেন্দু কাণ্ডার (১০০০),পাঁশকুড়া পুরুষোত্তমপুরের তীর্থপতি মাইতি(৫০০), ইন্ডিয়ান কালচারাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি (৫০০), প্রসেনজিৎ হাজরা(৫০০), রত্নেশ্বরবাটীর দিব্যেন্দু সাঁতরা(১৫০), রত্নেশ্বরবাটির অচিন্ত্য সিংহরায়(৫০০), কোন্নগরের সুরজিৎ ব্রহ্ম(৫০০), ঘাটালের বুবাই পাল(৫০০), ব্যান্ডেলের সুদীপ হেমব্রম(২০০), কামারপুকুরের নজরুল ইসলাম(৩০০), পাঁশকুড়ার সরাব খান(১০০), বিহারের জওহির কুর্মি(১০০), ডানকুনির শুভজিৎ পাত্র(১০০), হুগলির নিমাই মাণ্ডি(৩০০), বীরভূমের তাজিরুদ্দিন শেখ(২০০), কৃষ্ণনগরের নিমাই দে(২০০), জগন্নাথপুরের সমীরণ মাজি(২০০), বরদা বিশালাক্ষীর অজিতকুমার দাঁ(৫০০), দাসপুর নিশ্চিন্তপুরের গোবিন্দ মণ্ডল(১০০০), মা সারদা সরস্বতী ট্রাস্ট (৫,০০০), বালিডাঙা সহজ তথ্যমিত্র(৫০০), প্রেরণা সোশ্যাল ইউনিট (১০০০), প্রসেনজিৎ রায়(১০০০), দাসপুর আলিপুর নিশ্চিন্তপুরের রামকৃষ্ণ মণ্ডল(১০০০), অভি বেরা(৫০০), অমৃত বেরা(২০০), জয়ন্ত জানা(৩৫০), অয়ন রানা (২০০), বাপন মান্না (৫০০), ধর্মেন্দ্র জানা(৫০০), সুরজিৎ বাগ(২০০),সৈকত রায়(৫০০), আসরাফুল মল্লিক(২০০), সিন্টু মণ্ডল(২০০), অরুণ আদক(১০০), অনুপ গোস্বামী(৩০০), দেবাশিস দোলই(১৭০০), রামকৃষ্ণ মণ্ডল(২০০), সৌমেন করণ(২৫০), অরূপ পাড়ই(১০০), সনাতন মণ্ডল(৯৯৯), প্রবীর পাল(৫০০), প্রসেনজিৎ বাগ(৫০০)।