পড়ুয়াদের মধ্যে মহাকাশ গবেষণার উৎসাহ বাড়াতে দাসপুর-২ ব্লকের নবীন মানুয়ায় দূরবিন তৈরির এক দিনের কর্মাশালার আয়োজন করা হল। ওই কর্মশালার উদ্যোগ নেয় দাসপুর-২ ব্লকের সৃষ্টি নামে বিজ্ঞান ও গবেষণামূলক একটি সংস্থা। সৃষ্টির উদ্যোগে একটি বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎসব চলছে। ২৮ ডিসেম্বর সেই বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে নবীনমানুয়া ঈশ্বরচন্দ্র হাই স্কুল ময়দানে ওই কর্মশালার আয়োজন করা হয়। প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতার বিশিষ্ট মাইক্রো টেলিস্কোপ বিশেষজ্ঞ রমেন্দ্রলাল মুখোপাধ্যায় ও শান্তনু বিদ। সৃষ্টি বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক উৎসবের কর্মকর্তা তথা দাসপুর-২ ব্লকের গোমকপোতা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত বুড়াই বলেন, গ্রামগঞ্জের পড়ুয়াদের মহাকাশ নিয়ে উৎসাহ বা গবেষণা করার প্রবণাতা তুলনামূলক ভাবে কম। পড়ুয়ারা যদি নিজেদের হাতে করে যন্ত্র তৈরি করতে পারে তাহলে তাদের এনিয়ে আগ্রহ বাড়বে। সেজন্যই এই কর্মশালার উদ্যোগ।এদিন দাসপুরের দুটি ব্লকের মোট ১৫টি হাইস্কুলের ৪০ জন পড়ুয়া ওই প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করে হাতে কলমে ১৫টি টেলিস্কোপ তৈরি করে। টেলিস্কোপগুলি তৈরি করার পর সেগুলি সংশ্লিষ্ট স্কুলকেই বিনা পয়সায় দিয়ে দেওয়া হয়। দু’ইঞ্চি ব্যাসের ওই টেলিস্কোপ দিয়ে তারা চাঁদের বলয় সহ অন্যান্য নক্ষত্র অতি সহজেই দেখতে পাবে। সুব্রতবাবু বলেন, দূরবিন তৈরির যন্ত্রাংশ কলকাতা থেকেই আনা হয়েছিল।সুব্রতবাবু বলনে, এছাড়াও ওই উৎসব প্রাঙ্গণে কলকাতার অনুরণন সায়েন্স সোসাইটির উদ্যোগে এদিন আর ১০টি স্কুলের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ১০০ জন পড়ুয়াকে নিয়ে তাদের পাঠ্য পুস্তকে যে সমস্ত বিজ্ঞান বিষয়ক পরীক্ষা রয়েছে তা হাতে কলমে শেখানো হয়। দুটি কর্মশালাতেই পড়ুয়াদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।