জলের তোড় ঝুমি নদীর কয়েকটি সাঁকোকে ভেঙে ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেল। ১৬ আগস্ট রাতে ঘাটাল থানার মনসুকাতে দুটি সাঁকো ভেঙে যায়। আজ ১৭ আগস্ট সকালে ঘাটাল থানার শ্রীমন্তপুরে আরও একটি বাঁশের সাঁকো ভেঙে পড়লে ওই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা বিপন্ন হয়ে পড়ে।
পরিস্থিতি দেখতে ঘটনাস্থলে ঘাটাল মহকুমার পুলিশ আধিকারিক কল্যাণ সরকার পুলিশ বাহিনী নিয়ে মনসুকার নদী ঘাটে যান। জেলা প্রশাসন থেকে মনসুকায় ন্যাশনাল ডিজার্টস্টার রেসপন্স ফোর্স পাঠানো হয়। ঘাটাল মহকুমা বিপর্যয় মোকাবিলা আধিকারিক অমিতাভ চক্রবর্তী বলেন, কয়েক দিনের বৃষ্টিতে ঝুমি নদীর জল বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে জলের স্রোতে প্রচুর পানা এসে সাঁকোটির বাঁশের খুঁটিগুলিতে ধাক্কা দিলেই এই বিপত্তি হয়। তবে এর জন্য কোনও হতাহতের খবর নেই।
প্রসঙ্গত, ঝুমি নদীতে কোনও ব্রিজ নেই। ভরা নদীতে নৌকায় করে যাতায়াত করতে হয়। নদীতে জল কমে গেলেই জনবসতি অনুযায়ী কিছুটা ছাড়া ছাড়া বেসরকারি উদ্যোগে নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়। সেই সাঁকোই ওই সমস্ত এলাকার ১০-১৫টি গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা হয়ে ওঠে। সাঁকো দিয়ে বাইক, সাইকেল সহ সাধারণ মানুষ যাতায়াত করেন।
বর্তমানে ওই সাঁকোগুলি ভেঙে যাওয়ার ফলে মনসুকা, হরিশকুণ্ডু, মাধবচক, আনন্দপুর, খরকপুর, কিশোরচক, বনহরিসিংহপুর, শ্রীমন্তপুর সহ হুগলি জেলার একাংশের মানুষকে সমস্যায় পড়তে হয়েছে।