নিজস্ব সংবাদদাতা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: দাসপুরের রাজনগর(Rajnagar) গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা না হয়েও গ্রামের প্রতিক্ষেত্রে দাগ রেখে গেলেন বর্তমানে চৌকা নেতাজী বিদ্যা মন্দিরের(Chowka netaji vidyamandir) প্রধান শিক্ষক(Headmaster) সুপ্রকাশ প্রামাণিক। আজ শনিবারের সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ক্লাবের(club) অন্যতম সদস্য সুপ্রকাশ প্রামাণিকের নিথর দেহ এসে পৌঁছাতেই ক্লাবের সদস্যরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাঁকে শেষ দেখা দেখতে শতাধিক গ্রামবাসী তখন ক্লাবের চারিদিকে। চৌকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের এই মৃত্যুকে মেনে নিতে পারেননি রাজ্যের উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সংগঠনের সদস্যরা। এদিন ওই ক্লাব প্রাঙ্গণে ওই সংগঠনের সদস্যরা হাজির হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং তাঁরা দাবি তোলেন রাজ্যে শিক্ষা আন্দোলনে এই সুপ্রকাশবাবুর ভূমিকা অস্বীকার করা যাবে না। কোথাও না কোথাও বর্তমানে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের(teacher) উপর যে চাপ প্রয়োগ চলছে তাও দায়ী এই শিক্ষকের অকাল মৃত্যুতে। সুপ্রকাশবাবুর ছায়া সঙ্গী রাজকুমার আলু বন্ধুকে হারিয়ে তখনও কান্না থামাতে পারছেন না,তখন কালীচকে গ্রামের বাড়ির সামনে গ্রামের ছেলে সুপ্রকাশের দাহ কাজ চলছে। বন্ধুর শেষ যাত্রার সঙ্গী রাজকুমারবাবু জানান,ঘাটালের কালীচক গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন বছর ৪৭ এর সুপ্রকাশ। গ্রামের স্কুলের পড়াশোনা তারপর উচ্চ শিক্ষা মেদিনীপুরে। রসায়ন নিয়েই পড়াশোনা। সোনামুই উচ্চ বিদ্যালয়ের(Sonakhali high school) রসায়ন(chemistry) বিভাগের সহকারী শিক্ষক হিসেবে শিক্ষকতা জীবনের সূচনা। পরে ২০১৯ সালে ঘাটালের চৌকা নেতাজী বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেন। কালীচকে বাড়ি হলেও সুপ্রকাশবাবু দাসপুরের রাজনগরে আলু পাড়ায় এক ভাড়া বাড়িতেই স্ত্রী ও দুই পুত্র সন্তানকে নিয়ে থাকতেন। জানা যাচ্ছে ২৬ জুন বুধবার হঠাৎই অসুস্থ হয়ে পড়েন। শরীরে একাধিক সমস্যার সাথে শুরু হয় পায়খানা। শুক্রবার সকাল ১০ টা নাগাদ সুপ্রকাশবাবুকে ঘাটাল হাসপাতালে(Ghatal hospital) ভর্তি করা হয়। বেলা বাড়ার সাথে শিক্ষকের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকে। বিকেল ৪ টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু সংবাদ আসে। শিক্ষকের এই অকাল মৃত্যুতে শোকের ছায়া দাসপুরের রাজনগর গ্রাম, সোনামুই উচ্চ বিদ্যালয়, ঘাটালের কালীচক গ্রাম ও চৌকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।