বাড়ছে আত্মহত্যা!
তৃপ্তি পাল কর্মকার, ‘সম্পাদক, স্থানীয় সংবাদ’: বিগত কয়েকদিনের মধ্যে অনেকগুলো অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটেছে ঘাটাল [https://linktr.ee/TriptiPaulKarmakar] মহকুমায়। তার মধ্যে বেশিরভাগই আত্মহত্যা। কোনও নির্দিষ্ট বয়সের ছেলেমেয়ে নয়, বিভিন্ন বয়সের মানুষের মধ্যেই বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। প্রত্যেকের আত্মহত্যার কারণ ভিন্ন। কেউ প্রেমে ব্যর্থ, কেউ পরকীয়ায় ফেঁসে, কেউ বেকারত্বের জ্বালায়, কেউ ঋণগ্রস্ত হয়ে, কেউ জটিল রোগে ভুগে বেছে নিয়েছেন আত্মহত্যার পথ। তবে কোনও কোনও মৃত্যুর কারণ হয়তো অজানা অবসাদ। যেমন দাসপুর থানার কেলেগোদার বাসিন্দা ২৭ বছর বয়সী এক যুবকের আত্মহত্যার কারণ বুঝতেই পারছেন না তাঁর পরিবারের সদস্যরা। যেখানে আজকাল বেকারত্বের জ্বালায় মানুষ হতাশার শিকার, সেখানে পরপর দুটি চাকরি পাওয়া ওই মেধাবী কেন আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন, সেখানেই রয়ে যাচ্ছে ধন্দ। আত্মহত্যার প্রবণতা কী কারণে বাড়ছে সেটাও যেন সমীক্ষার বিষয় আজকের দিনে। মনের মধ্যে প্রচুর ডিপ্রেশন, বাইপোলার ডিসঅর্ডার থাকলে মানুষ আত্মহত্যাপ্রবণ হয়। বাড়ে জীবনের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলার মতো বিষণ্ণতা।
বর্তমান সমাজ যেমন এগিয়ে চলেছে আধুনিকতায়- বিজ্ঞানে, তেমনই আজকের আত্মকেন্দ্রিক মানুষের মধ্যে বাড়ছে হতাশা, অসহিষ্ণুতা, একাকীত্ব। অজানা অভিমান, রাগ, পুঞ্জীভূত ক্ষোভ থেকেও বাড়তে পারে আত্মহত্যার প্রবণতা। তবে সব থেকে আজকের দিনে মানুষের মধ্যে যেটা বড় সমস্যা তা হল মানুষের মধ্যেকার একাকীত্ব। এমন অনেক কথা ছিল যা হয়তো কারোর সঙ্গে মন খুলে শেয়ার করতে পারলে মানুষটাকে আত্মহত্যার পথ বাছতে হত না। তাই কাছের মানুষ বিষণ্ণতার শিকার হলে তার মনের কাছাকাছি মিশতে চেষ্টা করুন। কথা বলে তার মনের সমস্ত কষ্ট ভারমুক্ত করার চেষ্টা করলে হয়তো তাতেই সমস্যার সমাধান সম্ভব।