মৌসুমী বাগ মাজি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ঝটিকা সফরে এলেন শ্যামসুন্দরপুর রাজকুমার হাইস্কুলের প্রাণপুরুষ [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]রাজকুমার সামন্তের নাতি বাসুদেব সামন্ত ও বাসুদেববাবুর পুত্র নীলেশ সামন্ত। বাসুদেববাবুর নাগপুরে ব্যবসা রয়েছে। তাঁর পুত্র নীলেশবাবু আমেরিকার নিউইয়র্কে থাকেন।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রবিবার শ্যামসুন্দরপুর রাজকুমার হাইস্কুলে ঘাটাল-রানিচক নদীবাঁধ রক্ষা কমিটির পরিচালনায় শচীনন্দন সামন্তর স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির, দুঃস্থ ব্যক্তিদের মশারি বিতরণ, চারাগাছ বিতরণ ও গুণীজনদের সম্বর্ধনা জ্ঞাপন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই অনুষ্ঠানের মূল আর্থিক সহযোগিতা করেছেন বাসুদেব সামন্ত। সেই অনুষ্ঠানে বিশেষ কারণে যোগ দিতে পারেননি তাঁরা। তাই ১৩ মার্চ ঝটিকা সফরে রাজকুমার হাইস্কুলে এসেছিলেন। তাঁর আর্থিক সহযোগিতায় শ্যামসুন্দরপুর রাজকুমার হাইস্কুলের যে স্বামী বিবেকানন্দ কক্ষ ও বিদ্যালয়ের সম্মুখে নোবেল জয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মর্মর মূর্তি ও বাংলা গদ্যের জনক তথা বিদ্যাসাগরের মর্মর মূর্তি ও রাজকুমার হাইস্কুলের প্রাণপুরুষ স্বর্গীয় রাজকুমার সামন্তর মর্মর মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। করোনা অতিমারীর সময়েও ওনার ব্যবসায়িক কাজকর্মের ফলে আসতে পারেননি। ফলে স্বামী বিবেকানন্দের নামে যে হলঘরটি নির্মিত হয়েছিল ওই কক্ষের উদঘাটন ভার্চুয়ালি করেছিলেন। সেই কক্ষেরও আজ উদঘাটন করেন তিনি। এরপর
ঘাটাল-রানিচক নদী বাঁধ রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সহ সভাপতি মদনচন্দ্র রম,যুগ্ম সম্পাদক অর্ধেন্দু মাজি কমিটির সদস্য মানিকলাল মাইতি ও কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য বলরাম জানা ও সুফলচন্দ্র বাগ,এছাড়াও স্কুলের সভাপতি সনাতন ঘোড়ুই ও টিচার ইনচার্জ তরুণকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় ও অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী ও ছাত্রছাত্রীর উপস্থিতিতে আজ তাঁকে ও তাঁর পুত্রকে এবং তাঁর আত্মীয়কে সম্বর্ধনা জ্ঞাপন করা হলো। বাসুদেববাবু বলেন, আমি এই গ্রামেই জন্মেছি এবং আমার দাদুর উদ্দেশ্য ছিল এই গ্রামে লেখাপড়া শেখার জন্য একটি স্কুল তৈরি হোক। শ্যামসুন্দরপুর গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী গ্রামের ছেলেমেয়েরা লেখাপড়া শিখুক তাই বিশিষ্ট গ্রামবাসীরা দাদুর সহযোগিতায় এই স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রত্যেককেই তিনি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এছাড়াও গ্রাম উন্নয়নের স্বার্থে তিনি বিভিন্ন সময় সেবামূলক কাজ করেছেন, প্রয়োজনে তিনি আগামী দিনে গ্রামের বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কাজের জন্য পাশে থাকারও আশ্বাস দিয়েছেন। বর্তমানে নীলেশবাবু আমেরিকার নিউইয়র্কে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির এক উচ্চপদে চাকরি করেন। তিনিও সকলকে এই বার্তা দিয়ে গেলেন, গ্রামের উন্নয়ন হোক। পাশাপাশি ছাত্রদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন নিজেদের লক্ষ্য নিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে যদি পড়াশোনা কর তাহলেও তোমরা প্রত্যেকেই তোমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবে। উদ্দেশ্য নিয়ে এগিয়ে চলো তোমরাও এই স্কুল থেকে ভারত বর্ষ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে উচ্চশিক্ষিত হয়ে গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করবে এই পরামর্শ ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশ্যে বাংলাও ইংরেজি ভাষায় বক্তব্য রেখেছিলেন।