সুপ্রিয় চক্রবর্তী, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দাসপুরে ভয়াবহ অগ্নি কান্ড। আগুনে পুড়ে ছাই একটি স্কুলের মারুতি ভ্যান যে ভ্যান গ্যাসে চালানো হচ্ছিল। ওই মারুতি ভ্যানের মধ্যে ছিল ১২ থেকে ১৩ জন শিশু শিক্ষার্থী সাথে চালক এবং এক অভিভাবক এমনটাই দাবি ওই মারুতি ভ্যানের চালকের। আজ শুক্রবারের সকাল প্রায় ১১টা নাগাদ দাসপুর থানার ঝুমঝুমি আই সি ডি এস কেন্দ্রের কাছে শিক্ষার্থীদের বাড়ি পৌঁছে দেবার সময় ওই ভ্যানে আগুন ধরে। চালক ও এলাকাবসীর সহায়তায় প্রাণে রক্ষা পায় শিশু শিক্ষার্থীরা। তবে একেবারে পুড়ে ছাই ওই ভ্যান। ওই মারুতি ভ্যানের গ্যাসের ট্যাংক ফেটে দুর্ঘটনার ভয়ে ওই জ্বলন্ত গাড়িটি থেকে সব্বাই দূরে সরে যায়। জানাগেছে ওই স্কুল ভ্যানটি হরিরামপুর বাজার এলাকার এক প্রাইভেট স্কুলের। প্রশ্ন উঠছে কিভাবে আইন ও নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে শিশুদের সুরক্ষার দিকে বিন্দু মাত্র নজর না দিয়ে রান্নার গ্যাসের দ্বারা চালিত মারুতি ভ্যানে করে শিশু শিক্ষার্থীদের বহন করা হচ্ছে? আদৌও ওই মারুতি ভ্যানের কোনো ইন্সুইরেন্স আছে? চালকের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে? এসব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে সমাজের সচেতন মানুষের মনে। ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দাসপুর থানার পুলিস। পৌঁছেছে ওই প্রাইভেট স্কুলের কয়েকজন। সমস্ত ঘটনা স্বীকার করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফে সুজিত পাত্র। তবে তিনি এও জানিয়েছেন তাদের পুলকার পারমিশন নেই। তবে গ্যাসের সিলিন্ডার ফেটে আগুন ধরেনি। রাস্তায় খড় মেলা ছিল। সেই খড়ে আগুন লেগেই অগ্নিকাণ্ডটি ঘটেছে। ছাত্রছাত্রীদের কোনও ক্ষতি হয়নি।
ঘাটাল মহকুমা সহকারি আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক সঞ্জয় হালদার বলেন, আমিও ঘটনাটি শুনেছি। পরিবহণ দপ্তরের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে ওরা ছাত্রছাত্রীবহন করছে তা আমরা ক্ষতিয়ে দেখছি। পরিবহণ দপ্তর জানিয়েছে, পরিবহণ দপ্তরের কাছে পুলকারের অনুমতি ব্যতীত কোনও গাড়িতে ছাত্রছাত্রী পরিবহণ করা যায় না। আসলে পুলকার খুবই নিরাপদ হয় তার আলাদা রঙ থাকে। জানা গেছে দাসপুর জুড়ে বহু প্রাইভেট স্কুল গজিয়ে উঠেছে। তাদের অনেকেই এমনভাবেই শিশুদের সুরক্ষার কথা মাথায় না রেখেই শিশু শিক্ষার্থীদের পুল কারের নামে এভাবে যাতায়াত করায়।