শ্রীকান্ত ভুঁইঞা:নদী বাঁধ না ভেঙেও ফি বছর বৃষ্টির জলেই জল মগ্ন হয় দাসপুর ২ ব্লকের আজুড়িয়া গ্রামের ২০ টিরও বেশি পরিবার। নেই জল নিকাশের সুষ্ঠ ব্যবস্থা। এবারও একই অবস্থা।গ্রামবাসীরা জানান শাসক বিরোধীরা ভোটের ঠিক আগেই হাত পেতে ভোট কুড়তে এসে শুকনো ভরসা দিলেও বর্ষা কাটলেও কোমোর সমান জলেই বসবাস তাঁদের শুকোয়না জল! এর প্রতিবাদে তাঁদের পাশে নেই কোনো দল।
দাসপুর ২ ব্লকের পলাশপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের আজুড়িয়া গ্রামের বেরা পাড়ার বহু পরিবারকে এভাবেই জলময় পরিবেশের মধ্যেই দিন কাটাতে হচ্ছে। জমা জলে মশার প্রাদুর্ভাব তো আছেই সাথে চারিদিকে দুর্গন্ধ এবং নানান বিষধর সাপের আনাগোনা। এক কথায় সভ্য সমাজ এখানে ব্রাত্য।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলির সদস্যরা জানান বারে বারে সর্বস্তরের প্রশাসনের কাছে জলনিকাশির সুরাহার আবেদন জানিয়েও মেলেনি ফল। আমরা টিম স্থানীয় সংবাদ পৌঁছে যাই পলাশপাই গ্রাম পঞ্চাতের প্রধান অপর্ণা পাল রায় এর কাছে। কোনো এক অজানা কারণে মুখ খুলতে নারাজ তিনিও। এখন প্রশ্ন গ্রামবাসী যাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে গ্রামের দেখভায়াল উন্নয়নের দায়িত্ব দিলেন কীভাবে তাঁরা গ্রামবাসীদের এতবড় দুর্দিনে অসহায় মানুষগুলোর পাশে না দাঁড়িয়ে সংবাদ মধ্যমের কড়া প্রশ্নের মুখোমুখি হতে অস্বীকার করেন?
গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মুখ লুকোলেও দাসপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতির কৃষি,সেচ ও সমবায়ের কর্মাধ্যক্ষ অলোক ভুক্তা সাফ জানান,গ্রামবাসীর এই অবস্থার জন্য গ্রামবাসীরাই অনেকাংশে দায়ি। প্রশাসনের সাথে তাঁরা সহযোগিতা করেননি। জল নিকাশের জন্য কোনো জায়গা না দিলে জমা জল বারকরা সম্ভব নয়। এখন প্রশ্ন তবে কি আজুড়িয়ার মানুষের এই জল যন্ত্রণার অবসান হবে না? প্রশাসন কি এভাবে কয়েকজন গ্রামবাসীর জন্য সারা গ্রামকে সমস্যায় ফেলতে পারে? না এর পেছনেও আছে ভোট বাক্সের কোনো সমীকরণ।