পুলকার দুর্ঘটনায় আটদিন যমে মানুষে টানাটানির পর মারা গেল সাত বছরের ছোট্ট ঋষভ। এই দুর্ঘটনার পর সব বাবা-মা’র শিক্ষা নেওয়া উচিত। এই মহকুমাতেও এখন বেসরকারি স্কুলের ছড়াছড়ি। সকাল সকাল টেনে হিঁচড়ে ঘুম থেকে তুলে পুলকারেই তো পাঠাতে হয় বাচ্চাদের। কটা বাচ্চাকেই বা বাবা-মা স্কুল পৌঁছে দিয়ে আসতে পারে? ভরসা বা মুশকিল আসান তো এই পুলকার!
ব্যবসার নাম স্কুল, আর ব্যবসা বাড়াতে ছাত্রছাত্রী টানতে পুলকার যায় প্রত্যন্ত গ্রামের প্রান্ত পর্যন্ত। পুলকার চালকদের প্রশিক্ষণ তো দূরে থাক, মিনিমাম দায়িত্ববোধটুকু নেই। গাড়ি চালাতে চালাতে কথা বলা তো আছেই, সেই সঙ্গে গাড়িতে বাচ্চাদের মাঝে সওয়ারি হিসেবে দেখা যায় গ্যাস সিলিন্ডারও। গাদাগাদি করে বাচ্চা তোলাও হয়। লাভের লোভে বেসরকারি স্কুলগুলি এসবে একদম নজর দেয় না। অভিযোগ গেলেও ইগনোর করে। অনেক সময় দেখা যায় গাড়ি থেকে হাত বাড়াচ্ছে পড়ুয়ারা। চালকের ভ্রুক্ষেপ নেই। মদ্যপ অবস্থায় পুলকার চালায় এমন উদাহরণও ভুরি ভুরি।
বেপরোয়া গতির মাঝে মোবাইলে কথা বলতে বলতে গ্যাস সিলিন্ডার সওয়ারি করা গাড়ির চালকের হাতে বাচ্চা পাঠাবেন কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবার সময় এসেছে। ভুলভাল চালকের হাতে বাচ্চা সঁপে দিয়ে দুশ্চিন্তার প্রহর গোনার চাইতে সামনের কোনও স্কুলই ভালো। ঘাটাল মহকুমায় যেটা হয়, প্রথমে নামকাওয়াস্তে বেসরকারি ইংলিশ মিডিয়াম জাতীয় স্কুলে ভর্তি করে তারপর সেই ওয়েষ্টবেঙ্গল বোর্ড। সুতরাং পুলকারে করে এই মহকুমার বাচ্চাদের আদৌ কি বেসরকারি স্কুলে যাবার দরকার আছে?