মুক্তধারা,দাসপুরের গোবিন্দনগরের একটি নাট্য ও সমাজভাবনা সংস্থা। এই সংস্থার সদস্যরা কেউ স্কুলে পড়ে। কেউ কলেজ। কেউ গৃহশিক্ষক। নেশার জায়গাটা ছিল কবিতা নাটক গান। তারপর যেমন হয় বড় বড় চোখ করে মানুষ দেখা। মানুষ দেখতে দেখতে ওরাও অন্যরকম হতে চায়। এই অন্যরকম নতুন কিছু নয়। কিন্তু অন্য মানুষ। ফেসবুকেই ওরা দেখেছে কত মানুষ মহামারীর ভয়কে পেছনে ফেলে ছুটছে। ছুটছে দাঁড়ানোর জন্য। হ্যাঁ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য। এই মহামারীর সময়ে এই সংস্থা মাস্ক স্যানিটাইজার নিয়ে পাড়ায় পাড়ায় শুধু সচেতন করেনি। গত ৩,৪,৫ জুন টানা কর্মসূচি নিয়ে ব্যস্ত ছিল মুক্তধারা।
৩রা জুন গৌরা মার্কেটের বিভিন্ন জায়গা, এ টি এম, প্রতীক্ষালয় স্যানিটাইজ করে। ৪ ঠা জুন পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরী ২ ব্লকের দক্ষিণ কলাগেছিয়া, সুন্দরপুর, কয়ালচক, উত্তর বোগাতে ইয়াস ও বন্যা কবলিত প্রায় ১৫০ পরিবারের হাতে খাবার দাবারের পাশাপাশি সাবান, স্যানিটারি ন্যাপকিন, ত্রিপল তুলে দিয়ে এসেছে। মুক্তধারার সদস্য শুভদ্বীপ গোস্বামী বলেন– পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা ক্ষতিগ্রস্ত। আমরা চুপ করে বসে থাকতে পারিনা। আমাদের ও কিছু দায়িত্ব থেকে যায়। মূলত সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে বন্ধু বান্ধব আত্মীয় সহ অনেক মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য হাত পাতি। অনেকেই আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। আমরা কৃতজ্ঞ।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষ্যে এই সংস্থার উদ্যোগে গৌরা থেকে চেঁচুয়া হাট পর্যন্ত বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালিত হয়। এই সংস্থার সদস্য রজত গোস্বামী বলেন– শুধু চারাগাছ লাগানো নয়, চারাগাছ গুলোর দেখভাল করার দায়িত্বও আমরা নিয়েছি। এই বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি তে আমাদের সঙ্গে ছিলেন গোমকপোতা গুনধর বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষক সুব্রত কুমার বুড়াই, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যা লেখা গোস্বামী এবং গৌরা বাজার কমিটির সম্পাদক কৃষ্ণমোহন মাজী। মক্ত ধারার ধারায় বয়ে আসুক আরও আরও মুক্তমনা মানুষ,পাশে দাঁড়াক মানুষের।