বাবলু মান্না, স্থানীয় সংবাদ, দাসপুর-২: ১৯৭৬ সাল থেকে মাস্টার প্ল্যানের পথ চেয়ে বসে আছেন ঘাটালের মানুষ। ভোট আসলেই শাসক,বিরোধী সব দলের নেতা-নেতৃদের মুখে মুখে ফেরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি। সাধারণ মানুষের মনে আবার নতুন করে স্বপ্ন মাথাচারা দেয়। কিন্তু আদেও কি হবে সেটা? নাকি ঘাটালবাসীর স্বপ্ন,স্বপ্নই থেকে যাবে? ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবে অত সহজ বিষয় নয়,এমনটাই মনে করছেন দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি নিশিথ পোড়ে। তাঁর আক্ষেপ,তিনি তার জীবদ্দশায় ঘাটালবাসীর সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেখে যেতে পারবেন না।
নিশিথবাবুর মতে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবে করতে সরকারকে বেশ কিছুটা বেগ পেতে হবে। সাথে জনসাধারণকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে! বাম আমলে প্রথম মাস্টার প্ল্যানের পরিকল্পনা।তারপর দীর্ঘ বছর অতিক্রান্ত।শাসক-বিরোধী টানা পোড়েনে এক প্রকার থমকে রয়েছে মাস্টার প্ল্যানের কাজ। তিনি বলেন, ৭৬ কোটি টাকার বাজেট নিয়ে মাস্টার প্ল্যানের সূচনা হলেও,সেই কাজ এতটুকুও এগোয়নি।লোকসভা ভোট আসতেই আবার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলি তা পূরণ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছে সাধারণ মানুষকে। সেই বিষয়ে ছাড়পত্র চেয়ে শাসককেও নির্বাচন কমিশনের দারস্থ হতেও দেখা গেছে। তাঁর প্রশ্ন, বিরোধীরাও কম যায় কিসে? রাজ্যে ক্ষমতায় এলে তারাই ঘাটালবাসীর স্বপ্ন পূরণ করবে,এমনটাই প্রচার হতে শোনা গেছে। তবে মাস্টার প্ল্যান,প্রকৃত প্ল্যান অনুযায়ী করতে হলে সাধারণ মানুষের জমি অধিগ্রহণ থেকে,পুনর্বাসন,নদী,খাল,বিল খনন থেকে শুরু করে আর যা যা পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে,তাতে দীর্ঘ কয়েক বছর লাগতে পারে সরকারের। এমনটাই দাবি করছেন নিশিথবাবু। ১৯৭৫ সাল থেকে তার রাজনৈতিক জীবনের পথ চলা থেকে আরম্ভ করে বিভিন্ন সময় শাসক- বিরোধী সব দলেই প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। দায়িত্ব সহকারে সব কাজ পালনও করেছেন।১৯৮৮ সাল থেকে বেশ কয়েকবার তিন দাসপুর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির দায়িত্ব সামলেছেন।এখন তার বয়স ৭০ এর দোড়গড়ায়। তাই তার অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের প্রকৃত বাস্তবায়ন অথৈজলে।আর হলেও তিনি বা তার সমবয়সীরা তাদের জীবদ্দশায় সেটা চাক্ষুস করে যেতে পারবেন না বলেই তিনি মনে করেন।