তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: চোখ নয়, অন্তর্দৃষ্টি ছিল বলেই স্থানীয় সংবাদের খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিল মালতির পরিবারের দুর্দশা, দৈনতা। আজ সে খবর দেখে বহু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রাথমিক ভাবে সেই সব টাকা দিয়েই মালতির বাড়ির কাজ শুরু হল। একটা দীন হীন পরিবারের যারা খেতে পেত না, কুকুর বেড়ালের মত পড়েছিল কুঁড়ে ঘরে, তাদের জন্য চোখ ভিজেছে আপনাদেরও, আমাদের পরিতৃপ্তি এটুকুই।
চলুন, যারা জানেন না এখনও মালতী কে, কেন সে খবরের শিরোনামে, চলুন একটু বলে নিই… প্যারালিসিসে পঙ্গু বাবা, বোবা মায়ের সংসারে আরও দুটি ভাইয়ের সঙ্গে সারাদিনে একবার আধপেটা খেয়ে বড় হচ্ছিল দাসপুরের বরুণা হাইস্কুলের বছর পনেরোর ছাত্রী মালতী ভূমিজ। এই রকম জীবন থেকে মেয়েকে মুক্তি দিতে মালতীর বাবা-মা বছর পনেরোর মেয়ের বিয়ের ঠিক করেছিলেন। সে খবর উঠে আসে স্থানীয় সংবাদের খবরের শিরোনামে। বহু মানুষের চোখ ভিজেছে মালতীর পরিবারের দৈনতা দেখে। সে খবর আমরা পাঠিয়ে দিই জেলা প্রশাসন থেকে মহকুমা প্রশাসনে। এরপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। মহকুমা শাসক, বিডিও, সাংসদ প্রতিনিধি সবাই মালতীদের কুঁড়েঘরে পরিদর্শনে যান। এ পর্যন্ত দুটি ভোটার কার্ড ছাড়া আর কিছু সম্পত্তি ছিল না মালতীর বাবা মায়ের। মানুষ তাজ্জব হয়ে দেখেছে ভোট চাইতে যেত যে সব নেতারা তারাও ওই পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর প্রয়োজন মনে করেনি। বহু মানুষ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন আমাদের খবর দেখে। তাদের শুভেচ্ছাতেই প্রাথমিকভাবে সিমেন্টের খুঁটি আর এসবেসটরের ছাউনি দিয়ে আজ ১৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হল মালতীর ঘরের কাজ।