তৃপ্তি পাল কর্মকার: ঘাটাল মহকুমায় আরও অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন।…গত কালপর্যন্ত অ্যাম্বুল্যান্সে করে সুস্থ মানুষ বাইরের রাজ্য থেকে ঘাটাল শহর সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামে প্রবেশ করেছেন। যেহেতু অ্যাম্বুল্যান্সকে পুলিশ আটকাবে না তাই এই পদ্ধতি নেওয়া হয়েছিল বলে বিভিন্ন সূত্র থেকে খবর এসেছে। আর এর আগে যারা অন্য রাজ্য থেকে এসেছেন তাঁরা তো বহাল তবিয়তে এই লকডাউনকে ‘জাতীয় ছুটি’ ভেবে হাট-বাজার, সেলুন, মাংসের দোকানের লাইন দিয়েছেন, চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েছেন। প্রতিবাদ করতে গেলেই তাঁদের রক্তচক্ষু যুক্ত মুখমণ্ডল থেকে হুমকির ঝলকা বেরিয়ে আসে।…আর একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষ তো প্রকাশ্যেই বলে বেড়াচ্ছেন তাঁদেরকে নাকি করোনা আক্রমণ করবে না। তাই তাঁরা এই অতিমারির চিত্র উপলব্ধি করেও ধর্মীয় স্থানে নিয়মিত জমায়েত করছেন।
আমরা প্রত্যেকেই মৃত্যুর প্রতি্ধ্বনি শুনতে পাচ্ছি। তা সত্ত্বেও পরিবার, গ্রাম, দেশ এবং সর্বোপরি সারা বিশ্বের এই মানব সভ্যতার জন্য ২১ দিনের সংযম পালন করতে পারছি না।