শহরাঞ্চল, কংক্রিটের মেঝে-ঢালাই রাস্তা থেকে এক কোদাল মাটি পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু তাবলে প্রতিভা কংক্রিটের ওই জঙ্গলে আটকে থাকে না। সে তার প্রকাশের মাধ্যম ঠিক খুঁজেই নেয়।
ঘাটাল ৫ নম্বর ওয়ার্ড গোম্ভীরনগরের সৌজন্য দত্তের প্রতিভাও আটকে নেই। তাদের বাড়িতে টবে বেশকিছু গাছ লাগানো আছে সেই টবের মাটি দিয়েই সৌজন্য তার প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে বানিয়েছে প্রায় ১ ফুট সাইজের সপরিবারে মা দুর্গা। শুধু তাই নয় পাশাপাশি সে সাড়ে তিন ইঞ্চি উচ্চতায় এক মেড়ের মধ্যে দুর্গাও বানিয়েছে।
ঘাটাল কুঠিবাজারের যে দুর্গা মণ্ডপ তার বাম দিকেই সৌজন্যের বাবা সৌমেন দত্তের ব্যাগের দোকান। সেই দোকানের সামনেই ছেলের এই সৃষ্টিকে তিনি সবার দেখার জন্য রেখেছেন।
ঘাটাল বিদ্যাসাগর উচ্চবিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্র সৌজন্য জানায়,সৃজনাত্মক সব কাজই তার খুব পছন্দ। এই দুর্গা সে প্রায় ২ মাস ধরে তৈরি করেছে। ফেলেদেওয়া বাতিল পেন,খড়ের টুকরো,কাগজ আর বাড়ির টব থেকে মাটি নিয়ে এই ঠাকুরগুলি সে বানিয়েছে।
ছেলের এই প্রতিভার বিকাশে ভীষণ খুশি মা শুশ্রিতা দত্ত। তিনি জানান,সৌজন্য ছোটো থেকেই একা একাই বিভিন্ন মডেল বানাত। কাদার ডালাতে আঙুলের চাপে ইচ্ছেখুশি রূপ দেওয়া ওর কাছে ভীষণ সহজ মনে হয়।
সৌজন্যের বাবা সৌমেন বাবু জানান,ছেলে চতুর্থ শ্রেনী থেকেই প্রতি বছর দুর্গা বানায়। পাড়ার দুর্গা পুজোর ঠাকুরের কাছে সে দুর্গা ঠাকুর রেখে আসতেন। এবার নিজের দোকানের সামনে রেখেছেন। সকাল থেকেই সে ঠাকুর দেখে সবাই খুব প্রশংসা করছে।
সৌজন্য বড় হয়ে স্কুলের পড়া ছেড়ে আর্ট কলেজে পড়ে প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতে চায়। সৌমেন বাবু পুত্রের ইচ্ছে পূরনের আশ্বাস দিয়েছেন। সৌজন্যের সৌজন্যে ঘাটালের নাম রাজ্য ছাড়িয়ে দেশের মানুষের কাছে পৌঁছে যাক।