নিজস্ব সংবাদদতা: আগামী ৯ জুলাই থেকে আবার রাজ্যে লকডাউন প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে। কিন্তু সেটা ঠিক কীভাবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। সরকারি ভাবে স্পষ্ট চিত্র এখন পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে জেলা স্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, মার্চ বা এপ্রিলের মতো লকডাউন হবে না। যে সমস্ত এলাকায় করোনা আক্রান্ত রোগী থাকার জন্য এলাকাগুলিকে কন্টেইনমেন্ট এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানেই লকডাউন কার্যকরি করা হবে। সেই এলাকার বাসিন্দাদের বাড়ির বাইরে থেকে বেরোতে দেওয়া হবে না এবং বাইরের কোনও ব্যক্তিকে সেই এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। সমস্ত কিছুই প্রশাসনের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হবে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। সে হিসেবে ঘাটাল মহকুমায় মোট ১৩টি কন্টেইনমেন্ট এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন হতে পারে। প্রাথমিকভাবে যে এলাকাগুলি জানা গিয়েছে তা হল দাসপুর-১ ব্লকের চককৃষ্ণবাটি, পাইকান দুর্যোধন, সুজানগর,গোকুলনগর,শ্যামসুন্দরপুর, দাসপুর-২ ব্লকের জোৎঘনশ্যামের সাতপোতা, কুল্টিকুরি, খেপুত দক্ষিণ বাড়,বাঁকীবাজার,পলাশপাই,ঘাটাল ব্লকের কিসমত দীর্ঘগ্রাম হাইস্কুল এলাকা এবং ঘাটাল পুরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চাউলি প্রাথমিক বিদ্যালয় এলাকা, ঘাটাল হাসপাতালের হোস্টেল।এই তালিকা অনুযায়ী চন্দ্রকোণা-১ ও চন্দ্রকোণা-২ ব্লকে কোনও জায়গায় লকডাউন হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। আমরা এনিয়ে জেলার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম। কিন্তু জেলা থেকে এনিয়ে পরিষ্কার করে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি। তাই এই তালিকা পরিবর্তনও হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে। যোগ বিয়োগ হতে পারে আরও অনেক এলাকা।