অনামিকা বন্দোপাধ্যায়, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: ভোর হলেই দুয়ারে পৌঁছে যাবেন সাফাইকর্মী, পুরসভার মত পঞ্চায়েতগুলিতেও এবার বর্জ্য সংগ্রহের ব্যবস্থা।
[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] এবার বাঁশির শব্দে ঘুম ভাঙবে চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের কুয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের। পৌরসভার মত এবার পঞ্চায়েত এলাকাতেও বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করবেন সাফাই কর্মীরা। প্রতিটি বাড়িতে দেওয়া হবে ২টি করে বালতি, এর একটিতে পচনশীল ও অন্যটিতে অপচনশীল বর্জ্য ফেলবেন গৃহস্থের মহিলারা। প্রতিদিন ভোরে সাফাই কর্মীরা এলাকায় পৌঁছে বাঁশি বাজালেই গৃহস্থ ওই দু’ধরনের বর্জ্য সাফাই কর্মীদের গাড়িতে ফেলে দেবেন।
আজ ১২ মে কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই প্রকল্পের উদ্বোধন হলো। প্রকল্পটির উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস, চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ, জয়েন্ট বিডিও অভিজিৎ পরিয়া, ওই বিধানসভার বিধায়ক অরূপ ধাড়া, চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ প্রমুখ।
কুঁয়াপুর পঞ্চায়েতের প্রধান শঙ্কর ঘোষ বলেন, সাফাই কর্মীরা বাড়ি বাড়ি থেকে বর্জ্য সংগ্রহের পর তা ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমা করা হবে। পরে পচনশীল এবং পচনশীল নয় এমন বর্জ্য আলাদা করা হবে। পচনশীল বর্জ্য থেকে নির্দিষ্ট যন্ত্রের মাধ্যমে তৈরি হবে জৈব সার। এর ফলে এলাকার দূষণও কমবে এবং জঞ্জালমুক্ত হবে। কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের লালগড় গ্রামে প্রায় দেড় একর সরকারি খাস জমিতে আইএসজিপি প্রকল্প ও স্বচ্ছ ভারত মিশনের আর্থিক সাহায্যে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকায় প্রকল্পটি তৈরি হয়েছে বলে তিনি জানান।
এরপর বসনছড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এবং ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতেও এই প্রকল্পের উদ্বোধন হবে এবং বাকি গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিতেও ধাপে ধাপে এই প্রকল্প চালু হবে বলে ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা যায়। এলাকার পরিবেশ রক্ষায় এমন ব্যবস্থায় খুশি কুঁয়াপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।