নিজস্ব সংবাদদাতা: ঘাটালের কুঠিবাজার থেকে উদ্ধার হলো খাবারে মেশানোর বিষাক্ত রং। [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] পথচলতি খাবারের দোকানে বা রেস্তোরাঁতে লোভনীয় খাবার দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে? জানেন কি, এতে বিপজ্জনক রং মেশানো হচ্ছে? যেটি খেলে আপনার ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে? এদিকে গাঁটের কড়ি খরচ করছেন তো ঠিকই। কিন্তু ওজন বুঝে নিচ্ছেন তো? ঘাটাল মহকুমার হাটে বাজারে কান পাতলেই শোনা যায় ওজন বিভ্রাটের ভোগান্তির কাহিনী। এই নিয়ে প্রশাসনের কাছেও জমা পড়েছে বেশ কয়েকটি অভিযোগ। ঘাটাল মহকুমা প্রশাসনের উদ্যোগে এবার মহকুমার বিভিন্ন দোকানগুলিতে ওজনযন্ত্র ও বিক্রিত দ্রব্যের গুণগতমান পরীক্ষা করতে অভিযান চালানো হল। মহকুমা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিরেক্টর সুভাষ ঘোষ, মহকুমা খাদ্য সুরক্ষা আধিকারিক অরুনাভ দে প্রমুখ ওই অভিযানে অংশ নেন। ঘাটালের বেশ কয়েকটি শপিং মল সহ বিভিন্ন বড় বড় ভুষিমালের দোকানেও অভিযান চালানো হয়। দোকানগুলিতে মূলত বিক্রিত দ্রব্যের গুণগতমান, ওজন যন্ত্রগুলি পরীক্ষা করা এবং প্যাকেটজাত দ্রব্যগুলির ওজন ও এক্সপায়ার ডেট সঠিক ভাবে দেওয়া রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হয়। লিগ্যাল মেট্রলজি দপ্তরের আধিকারিকেরা, বেশ কয়েকটি ক্ষেত্রে সরকারি বিধি অনুসারে অসঙ্গতি ধরা পড়ায় ওজন যন্ত্রসহ বিক্রয়ের জন্য মজুত করা দ্রব্য বাজেয়াপ্ত করেন। এদিন উল্লেখযোগ্য ভাবে ঘাটালের কুঠিবাজার এলাকার একটি দোকান থেকে খাদ্যে মেশানোর জন্য ক্ষতিকারক রং উদ্ধার করা হয়৷ এই রং মূলত বিভিন্ন হোটেলে বা মিষ্টির দোকানে খাবারকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ব্যবহার করা হয়।
মহকুমা খাদ্য সুরক্ষা অধিকারিক অরুনাভ দে বলেন, ওই রংগুলি প্রকৃত পক্ষে খোলাবাজারে এই ভাবে বিক্রি করা বিধি সম্মত নয়৷ রংগুলি শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক হতে পারে! এই রং মানব দেহে গেলে ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। এই রংগুলির প্যাকেটের গায়ে পর্যন্ত পরিষ্কার ভাবে লেখা আছে, যে এগুলি শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহারের জন্য। অথচ যথেচ্ছ ভাবে খাবারের সাথে এগুলি মেশানো হচ্ছে। আমরা ওইগুলি পরীক্ষা করার জন্য ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করব৷ ক্রেতাদের পণ্য কেনার ক্ষেত্রে দ্রব্যের মূল্য এক্সপায়ার ডেট ওজন খতিয়ে দেখে তারপরে কেনাকাটা করার পরামর্শ দেন ক্রেতা সুরক্ষা আধিকারিকেরা। এদিনের, এই অভিযান সম্পর্কে মহকুমার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অর্জুন পাল বলেন, এবিষয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে মহকুমা শাসকের দপ্তরে জানালে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।