নিজস্ব প্রতিনিধি, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দোরগড়ায় শিলাবতীর ভাঙা মুখ, ভাঙা বাঁধ পারপারের সময়ই প্রাণ ওষ্ঠাগত। তার ওপর বৃষ্টি। [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] নদীতে জল ধিকি ধিকি করে বাড়ছে। জ্বালানি, চাল, ডাল মজুত শুরু প্রায় ৪০টি বন্যা দেখা দাসপুরের যমুনাদেবীর। সেবার সামনের এই বাঁধ ভেঙে সারা গ্রাম ভেসে গিয়েছিল। বাঁধা হয়নি বাঁধ। বর্ষা নামতেই ফের বন্যার ভ্রুকুটি দেবের ঘাটাল জুড়ে। লাগাতার বৃষ্টি বর্ষা প্রায় শুরুর মুখে। ছাড়া হয়নি জল, এখনও কাঁসাই বা শিলাবতী নদীতে বিভিন্ন জলাধারের জল এসে পড়েনি। কিন্তু এই বৃষ্টি দেখেই ২০২১ এর বন্যার আতঙ্কে রাতের ঘুম উড়েছে দাসপুরের রাজনগর ও নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দাদের। নিজ নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান গগন চন্দ্র সামন্ত জানাচ্ছেন, তাঁর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সেবার বন্যায় প্রায় দেড়শ জায়গায় কাঁসাই নদীর সার্কিট বাঁধ ভেঙে এলাকার ২৭ টি মৌজার হাজার হাজার মানুষ বানভাসি হয়েছিলেন। তবে তাঁর এলাকায় সবকটি ভাঙা বাঁধ বেঁধে দিয়েছে ইরিগেশন দপ্তর। তবে রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অরুণ দোলই জানাচ্ছেন, ২০২১ এ তাঁর এলাকায় প্রায় ২৭টি জায়গায় শিলাবতীর বাঁধ ভেঙে ৮টি মৌজার বেশ কয়েক হাজার মানুষ বানভাসি হন। ভাঙা বাঁধগুলির মধ্যে রামদেবপুরের মুদি হানা সাথে রাজনগর পশ্চিমে পুরাতন ভাঙা পোলের হানা মুখ এখনও খোলা। তিনি জানান, ইরিগেশন এর তরফে অন্যান্য বাঁধগুলি বেঁধে ফেলা হলেও এই দুই জায়গায় এখনো হানামুখ খোলা। বৃষ্টি বাড়ার সাথে সাথে তাই এলাকাবাসীদের মাঝে মাথাচাড়া দিচ্ছে সেবার বন্যায় কাটানো আতঙ্কের রাতগুলির কথা। আশঙ্কা এবার আবার ফিরে আসবে সেই কালরাত্রি।
প্রতিবছর বন্যার জলের সাথে বয়ে আসে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। জল শুকোলেই প্ল্যান থিতিয়ে যায়। আবার বর্ষা নামে নদী মুখে করে নিয়ে যায় যমুনা,শুভঙ্কর,রাম,লক্ষ্মণদের বাড়ি। তবে ভোট ভিক্ষায় প্রার্থীরা ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নামক এই মাস্টার স্ট্রোক ভোলেন না।