অরুণাভ বেরা,ঘাটাল: এই বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষায় রাজ্যে সপ্তম হ’ল ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের ছাত্র অনীক চক্রবর্তী। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৮৪। অনীকের বিষয় ভিত্তিক নাম্বার হল, বাংলা ৯১, ইংরেজি ৯৭, ইতিহাস ৯৯, ভূগোল ৯৯, জীবন বিজ্ঞান ৯৮, ভৌত বিজ্ঞান ১০০, অংক ১০০। অনীকের টেস্ট পরীক্ষায় নাম্বার ছিল ৬৬৩।
অনীকের বাবা শুভময় চক্রবর্ত্তী রত্নেশ্বরবাটি নেতাজি হাইস্কুলের ইংরেজির শিক্ষক। মা পিউ চক্রবর্তী গৃহবধূ। অনীকের বাড়ি খড়ারে। ঘাটালের কোন্নগরে ভাড়া বাড়িতে তারা থাকে। ওরা দুই ভাই। ছোট ভাই অরিত্র স্ট্যান্ডার্ড থ্রি-র ছাত্র । ছোটখাটো অনীক বরাবরই মেধাবী ছাত্র। যদিও সে ক্লাসের ফার্স্টবয় ছিল না। তার রোল নাম্বার ছিল পাঁচ। কিন্তু শেষ ওভারে ছক্কা হাঁকিয়ে দেখিয়ে দিল ম্যাচ কিভাবে জেতা যায়। সে প্রতিদিন আট ঘণ্টা করে পড়তো। লেখার জন্য সময় রাখত দু’ঘন্টা। তার প্রিয় বিষয় অংক। ছয় জন গৃহ শিক্ষক ছিলেন তার। অনীকের বাবা তাকে ইংরেজি পড়াতেন। তার বাবা, মা, দাদু উৎসাহ দিতেন। দাদু পরমেশ্বর চক্রবর্তী অর্থনীতির শিক্ষক ছিলেন। বাবা-মা অনীকের পড়াশোনার প্রতি নজর রাখতেন। অনীক খুঁটিয়ে টেক্সট বই পড়তো। অনীক অবসর সময়ে ক্রিকেট খেলতে এবং দেখতে ভালোবাসে। সত্যজিৎ রায়ের ফেলুদা তার খুব প্রিয়। এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অনীক ভারতের ভালো খেলার বিষয়ে আশাবাদী। বেশি রাত পর্যন্ত অনীক পড়ত না, তবে দিনের বেলা যতটা সম্ভব কাজে লাগাতো। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের প্রতি তার পরামর্শ, টেক্সট বই পড়া সাথে একটা ভালো সহায়িকা অনুসরণ করা দরকার। আর লেখার প্রতি নজর দিতে হবে। কি নিয়ে পড়াশোনা করতে চায় সে? অনীকের আইআইটি তে ভর্তি হওয়ার ইচ্ছে আছে। আপাতত উচ্চ মাধ্যমিকে ভালো ফল করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে সে। আরো একটা কথা জানালো সে। তার ছোটভাই এই রেজাল্টের পিছনে অন্যতম উৎসাহদাতা। ভাইয়ের সাথে খুনসুটির সাথে সাথে ভাবও প্রচুর। ঘাটাল বিদ্যাসাগর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মাইতি বলেন, আমরা অনীকের জন্য গর্বিত। স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরাও আনন্দ প্রকাশ করেন।