সৌমেন মিশ্র ও সন্তু বেরা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: দাসপুর থানার হরিরামপুরে দোকান বাড়ির ছাদে Electric shock হয়ে মর্মান্তিক মৃত্যু daspur police station এর রাজনগর গ্রামের বাসিন্দা বছর ৫৩ এর হেমন্ত লাহার।[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
ওই দোকান বাড়ির ছাদের উপরেই ছিল electric এর খোলা তার। ছাদে কিছু নির্মাণের কাজ চলছিল, বৃষ্টি নামলে ত্রিপল চাপা দিতে গিয়ে বিদ্যুতের তারের সংস্পর্শ আর মর্মান্তিক পরিণতি। তবে এই মৃত্যুকে ঘিরে ক্ষোভে ফুঁসছে Rajnagar এর পাশাপাশি হরিরামপুরের মানুষ। Harirampur বাজারের দোকানদারদের অভিযোগ, সবার অলক্ষে এক দুপুরে যখন সব দোকান বাজার বন্ধ ছিল বছর আড়াই আগে Ghatal-Medinipur road সম্প্রসারণের সময় বাজারের বিভিন্ন দোকান ও বসতবাড়ির একেবারে উপর দিয়েই বিদ্যুতের তার টানা হয়৷ একেবারে খোলা তার। ২০২২ সালের ৪ আগষ্ট থেকে টানা লিখিত আবেদন নিবেদন বিদ্যুৎ দপ্তরকে ২০২৩ এর জানুয়ারি মাসের ১১ তারিখেও লিখিতেভাবে এই বিপদ এবং ভয়ঙ্কর পরিনতি সম্বন্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে আবেদন জানায় বাজারের বিভিন্ন দোকানদার থেকে এলাকার বাসিন্দারা। দাসপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৎকালীন সভাপতি সুনীল ভৌমিক থেকে বর্তমান সভাপতি সুকুমার পাত্র তাঁদের নজরেও আনা হয়। এলাকাবাসীরা জানাচ্ছেন, Duare Sarkar এও তাঁরা জানান। তাঁদের আবেদনের প্রথম লাইনেই লেখা, যে কোনও মুহূর্তে electric shock হয়ে বড়সড় দুর্ঘটনা বা প্রাণহানি হতে পারে। ভ্রুক্ষেপ নেই দপ্তরের নাকি বলবেন অবহেলা! আজ শনিবারের বেলা প্রায় ১১টা নাগাদ নিজের দোকানের ছাদেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মর্মান্তিক পরিণতি রাজনগরের হেমন্ত লাহার। আশপাশের দোকানদার, প্রতিবেশী অনেকেই ছুটে এসেছিলেন, সাথে সাথে তাঁকে হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তাতেই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। হরিরামপুর এবং রাজনগরের মানুষ হেমন্ত লাহার এই মৃত্যুর সম্পূর্ণ দায় চাপাচ্ছেন বিদ্যুৎ দপ্তর এবং প্রশাসনের উপর। কিন্তু বিদ্যুৎ দপ্তরের বক্তব্য, বাড়ির ছাদের উপর দিয়ে বিদ্যুতের তার গিয়েছে তার উপর আবার গাঁথনির কাজ সেই গাঁথনি চাপা দিতে গিয়ে এই পরিণতি। একটা দুর্ঘটনা ঘটলে কেউ দায় চাপাবে কেউ বা দায় এড়িয়ে যাবে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি বাঁচিয়ে রাখবে কিন্তু যে পরিবারের মানুষটা চলে গেল তারা তো আর তাদের বাবা, কাকা বা সেই স্ত্রী আর নিজের স্বামীকে ফিরে পাবে না। এলাকাবাসীর চাপে হয়তো দু’একদিনের মধ্যেই ওই বিদ্যুতের খুঁটি সরানো হবে কিংবা বিদ্যুতের ওই খোলা তারে চড়ানো হবে প্লাস্টিকের পরত। এই কাজটাই ১টা দিন আগে হলে? ছেলে মেয়েগুলো এই বয়সে তাদের বাবাকে হারাতো না। সামনের এই পুজোতে তাদের মা রঙিন শাড়িটা পরেই তো অষ্টমীর অঞ্জলি দিতে পারতেন!