নিজস্ব সংবাদদাতা, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: তড়িঘড়ি দাসপুরের বন্যাপরিস্থিতি পরিদর্শনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল। কেন্দ্রের সেচ,জলসম্পদ ও সড়ক দপ্তরের তিন সদস্যকে বন্যা পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দেখালেন ঘাটালের মহকুমাশাসক সাথে দাসপুর-১ ব্লক প্রশাসন।
দাসপুর-১ ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত ও নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ৩০ টি মৌজা জলের তলায়। টানা প্রায় ১ মাস জলমগ্ন দাসপুরের এই দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা।শুধুমাত্র নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১৪৭ টি হানা পড়েছে বলে জানা যায়।আর এতেই দীর্ঘ জলবন্দি মানুষ।আবার আবহাওয়া দপ্তর দুদিন ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে,তাতেই চিন্তা বেড়েছে ব্লক প্রশাসন থেকে প্লাবিত এলাকার মানুষদের। আজ শনিবার দুপুরে দাসপুর-১ ব্লকের নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েতের কিসমত নাড়াজোলে নৌকায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন তিন সদস্যর একটি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।সেচ,সড়ক ও কৃষি বিভাগের তিন সদস্যর কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল এদিন দাসপুরে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করে বলে জানা যায়।ঘাটালের মহকুমাশাসক সুমন বিশ্বাসের সাথে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের সাথে ছিলেন দাসপুরের বিধায়ক মমতা ভুঁইঞা, দাসপুর-১ বিডিও বিকাশ নস্কর,নাড়াজোল গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান,দাসপুর-১ পঞ্চায়েত সমিতির আধিকারিকরা।ঘুরে দেখেন ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ,প্লাবিত এলাকা।স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের থেকে ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট নেন।রাস্তাঘাট,বাঁধ সহ প্লাবিত এলাকার মানুষ থেকে গবাদিপশুদের কীভাবে খাবার,পানীয় জল সরবরাহ করা হচ্ছে তার বিস্তারিত রিপোর্ট নেন।সেখান থেকে ফিরে যান ওই প্রতিনিধি দল।স্থানীয়দের আক্ষেপ রাজ্যের মন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি ঘুরে যাচ্ছে আসল কাজ কিছুই হচ্ছেনা। দ্রুত ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান রূপায়ন করে এই জলযন্ত্রণা থেকে মুক্তি চাই, এমনটাই দাবি প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের। অন্যদিকে কেন্দ্রের এই প্রতিনিধি দলের বন্য পরিদর্শন নিয়ে খুব একটা আশাবাদী নন দাসপুরের বিধায়ক। কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলও আজকের এই বন্যা পরিদর্শন নিয়ে মুখ খোলেননি।