সৌমেন মিশ্র: মৃতদেহ পোড়ানোকে কেন্দ্র করে শুক্রবার রাতে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল দাসপুর থানার নিজনাড়াজোল গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায়। মৃতদেহকে চুল্লির সামনে নিয়ে যাওয়া হলেও দেহ দাহ করতে বাধা দেন কয়েকটি পরিবার। সৃষ্টি হয় তুমুল উত্তেজনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে রাতেই বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে গিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান দাসপুর থানার ওসি অমিত মুখোপাধ্যায়। পুলিশ গেলেও এক পরিবারের প্রবল বাধায় সরকারি চুল্লিতে দেহ দাহ করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, চুল্লি থেকে বেশ কিছুটা দূরে সেই দেহ দাহ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরে গ্রামাবাসী এবং যারা বাধা দিয়েছেন তাঁদের নিয়ে একটি বৈঠকে বসা হবে।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ৪ নভেম্বর নাড়াজোলের এক বাসিন্দা অশীতিপর বৃদ্ধ কাশীনাথ চক্রবর্তীর মৃত্যু হয়। তাঁর দেহ দাহের জন্য ওই গ্রামপঞ্চায়েতের নাড়াজোল এবং রামদাসপুরের সীমানায় সরকারি চুল্লিতে দাহের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। সন্ধ্যার পর দেহ যেতেই রামদাসপুরের পাত্র পরিবারের কয়েকজন সদস্য দেহ দাহ করতে বাধা দেন। শক্তি পাত্র, বিজয় পাত্র বলেন, চুল্লিটি ২০১৭ সালে জোর করে আমাদের জায়গার উপর করা হয়েছে। আমাদের কোনও অনুমতি নেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত বার বার আশ্বাস দিয়েছিল সমাধান করে দেবে বলে কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান হয়নি। আমাদের জায়গার ক্ষতি পূরণ দেয় বা স্থায়ী সমাধান করে দেয় ততক্ষণ আমরা ওই শ্মশানে কোনও দেহ দাহ করতে দেব না। গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান গগন সামন্ত বলেন, আমরা মাপজোক করে খাস জায়গার উপরেই শ্মশানটি করে ছিলাম। এখন কেন জায়গা নিয়ে বিতর্ক উঠছে বুঝতে পারছি না। বিষয়টি আমি বিডিও এবং ওসিকে জানিয়েছি। এনিয়ে তাঁরা যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই চূড়ান্ত হবে।