পাপিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়: ঘাটাল থানার মনোহরপুর বাজারে সব্জি বিক্রেতার সংখ্যা পাঁচ মাসে ১০৫ থেকে লাফিয়ে হয়েছে ২৪০জন। এর অন্যতম কারণ এই করোনা মহামারী। করোনার জেরে বহু মানুষ কাজ হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। এদের মধ্যেই কিছু মানুষ আপাতত এই সব্জি ব্যবসা করে সংসার চালাচ্ছেন। এই করোনার কারণেই পরিযায়ী শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে এসেছেন। রুজি রোজগার বন্ধ। তাই তাঁরা নিরুপায় হয়ে সব্জি বিক্রির পেশায় নাম লিখিয়েছেন।[•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।]
মনোহরপুরে প্রতিদিনের বাজার। এখানে ক্রেতার সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে হাজার জন, বিক্রেতার সংখ্যা ২৪০ জন। তবে কি বিক্রেতাদের বিক্রি তেমন হচ্ছে না এখানে? না, তাপস পাড়ই নামে এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, আমাদের জিনিসপত্র প্রতিদিনই বিক্রি হয়ে যায়। চাহিদা ভালোই আছে। আবার শান্তনু দত্ত নামে এক আলু ব্যবসায়ীর বক্তব্য বহুদিন কাজ হারিয়ে হতাশ হচ্ছিলাম তাই লেগে পড়লাম এই ব্যবসায়, ভালোই চলছে আমাদের ব্যবসা। শান্তনুবাবু বলেন, আমরা একসঙ্গে অনেক বন্ধু ভিন রাজ্য থেকে কাজ ছেড়ে চলে এসেছি। কিন্তু কবে পরিস্থিতি ঠিক হবে জানি না। তাই আপাতত এই আলু, পেঁয়াজের ব্যবসা করছি। এই মনোহরপুর বাজারে গিয়ে দেখলে অবাক হতে হয় শুধু বাড়ির পুরুষেরা নয়, পুরুষদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই বিক্রির কাজে হাত লাগিয়েছেন মহিলারাও। সঞ্জয় পাড়ই নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা জানি এই কাজে রোদ জলে প্রচুর পরিশ্রম করতে হয় তবুও যতদিন না আমরা অন্য কাজ খুঁজে নিতে পারছি ততদিন এটা করেই আমাদের সংসার চালাবো। প্রশাসন যদি আমাদের মত স্বর্ণশিল্পীদের কথা ভেবে ঘাটালে কোনও কাজের ব্যবস্থা করেন খুব ভালো হয়।
মনোহরপুর বাজার কমিটির সম্পাদক জগন্নাথ চক্রবর্তী বলেন, বাজারে বিক্রেতার সংখ্যা দেখে আন্দাজ করতে পারছি যে করোনার জন্য কত মানুষ কাজ হারিয়েছেন। যাইহোক দেখে ভালো লাগছে এই সমস্ত যুবকরা নিজেদের গতরে খেটে পরিশ্রম করে আয় করছেন। আমরা ওদের এই ব্যবসা সংক্রান্ত যেকোনও সমস্যাতে ওদের পাশে থাকার চেষ্টা করব।
শুধু মনোহরপুর বাজারে নয়। গ্রাম-গঞ্জের প্রত্যেকটি এলাকাতেই বহু মানুষ করোনার জেরে কাজ হারিয়ে রুজির খোঁজে বিভ্রান্ত হয়ে ছুটছেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।