অদিতি পান, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল, M: 8900020001:ঘাটাল মহকুমার বিভিন্ন এলাকায় গাজনের সময় চড়ককাঠ ভেঙে পড়া যেন এক নিয়মিত ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবছর পয়লা বৈশাখে দাসপুর থানার গোপালপুর গ্রামে সন্ধ্যায় চড়কের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চড়ককাঠ স্থাপন করে ট্রায়াল দেওয়া হচ্ছিল, ঠিক তখনই কাঠটি ভেঙে পড়ে। তবে সৌভাগ্যবশত তখন কোনও সন্ন্যাসী কাঠে ছিলেন না, ফলে কেউ জখম হননি।গাজন কমিটির পক্ষে রমণি মাইতি জানান, দুর্ঘটনার পরে নতুন করে চড়ককাঠ তুলে চড়কের আয়োজন আর করা হয়নি। তবে গাজনের ভোক্তারা চড়কের নিচে দাঁড়িয়েই বাসাতা, লাড্ডু ও লজেন্স বিতরণ করেন। উল্লেখযোগ্যভাবে, এমন ঘটনা এই প্রথম নয়। কয়েক বছর আগে ঘাটাল শহরের ৯ নম্বর ওয়ার্ডে শ্রীরামপুর শিব মন্দিরে রাত ৮টা নাগাদ চড়ককাঠ ভেঙে পাঁচজন সন্ন্যাসী ও ভক্ত জখম হন। একই বছর ঘাটাল থানার দন্দিপুর গ্রামে শিবের গাজনে চড়ক ওঠার সময় কাঠ ভেঙে পড়ে এক সন্ন্যাসী গুরুতর আহত হন। প্রতিবছরই ঘাটাল মহকুমার নানা এলাকায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। এতে প্রশ্ন উঠছে, চড়ককাঠ নির্মাণে নিরাপত্তা বিধি ও মান বজায় রাখা হচ্ছে কি না।