তৃপ্তি পাল কর্মকার:অসামাজিক কাজের আখড়া হয়েছে চন্দ্রকোণা ভেরবাজারে একসময়ের রাজার সভা গায়কের বসতবাড়ি। চন্দ্রকোণা পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের ভেরবাজারে বসবাস করতেন রমাপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের। জনশ্রুতি আছে ১৮৩১ সালে বর্ধমান মহারাজা মেহতাপ চাঁদ রমাপতিবাবুর গানে মুগ্ধ হয়ে তাকে সভা গায়ক করেছিলেন এবং দেওয়ানী পদ দিয়েছিলেন।
বর্তমানে সংস্কারের অভাবে গায়কের বসতবাড়ি পরিত্যক্ত এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ সেখানে নাকি সন্ধ্যায় বসে মদ জুয়ার আসর। প্রায় ৫০০ বছরের পুরোনো ভেরবাজারের এই বাড়ি লালুবাবুর বাড়ি বলে পরিচিত।
ইতিহাস খুঁজে পাওয়া যায় সংগীতঞ্জ পরিবারে রমাপতিবাবুর জন্ম১৮০৯ সালে। ছেলেবেলা থেকে বিভিন্ন সঙ্গীতজ্ঞের কাছে সঙ্গীতের তালিম নেবার পরে সঙ্গীত শিল্পী হিসেবে সুখ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে তাঁর। সুখ্যাতির খবর যায় বর্ধমান মহারাজা মেহতাপ চাঁদের কাছে। মহারাজা সসম্মানে হাতি পাঠিয়ে বর্ধমানে নিয়ে যান রমাপতিবাবুকে। সভাগায়কের পদের পাশাপাশি তাঁকে দেওয়া হয় দেওয়ানির পদ। বাংলা ও পার্শীতে পারদর্শী এই সভাগায়ক সঙ্গীতাদর্শ নামে একটি অনুবাদ মূলক বই বাংলায় রচনা করেন। তাঁর স্ত্রী করুনাময়ীদেবীও নামজাদা সঙ্গীতশিল্পী ছিলেন। বতর্মানে রমাপতিবাবুর উত্তরসূরিরা বর্ধমানে বসবাস করেন। আর ভেরবাজারের এই সুবিশাল দালানকোঠা পরিত্যক্ত হয়ে বিলীন হতে বসেছে সময়ের ঘূর্ণিপাকে। ওই ভেড়বাজারের বসতবাটিকে রক্ষা করতে চান সকলেই। নতুন এবং পুরোনো প্রজন্মের সমস্ত সচেতন মানুষই।
•এই খবর সম্পর্কিত ভিডিওটি দেখতে চাইলে ▶এখানে ক্লিক করতে পারেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।