শুভম চক্রবর্তী:রথের মেলার সাথে জিলিপি আর পাঁপড় ভাজা তো পুরো জমে যায়। জিলিপি বলতে বাঙ্গালী বোঝে চাল গুঁড়ি ময়দা দিয়ে তৈরি মুচমুচে জিলিপি। কোথাও কোথাও আদার রসে ডোবা টুসটুসে মুগের জিলিপির ভীষণ কদর। কিন্তু সবার থেকে ভিন্ন স্বাদের এক ধরনের জিলিপি হল গুড়ের জিলিপি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মধ্যে একমাত্র ঘাটাল শহরে তৈরি হয় আম্রপালি চাকি গুড় দিয়ে তৈরি গুড়ের জিলিপি।
ঘাটালের কিছু দোকানদার বংশপরম্পরায় এই বিশেষ খাবার তৈরি করে আসছেন। আগের দিন রাত্রে জিলিপি তৈরির বিভিন্ন উপকরণ রেডি করে রাখা হয়। পরদিন সকালে গরম গরম তৈরি হয় ঘাটালের অতি পরিচিত গুড়ের জিলিপি। এমন এক মিষ্টি কারিগর সদা মোদক বলেন প্রতিদিনই এই জিলিপির চাহিদা ভীষণ রকম থাকে। তবে আমাদের তেমন পরিকাঠামো নেই বলে সব সময় যোগান দিতে পারি না। বাপ ঠাকুরদার আমল থেকেই আমরা এই মিষ্টি তৈরি করে আসছি। স্বাদ এবং গন্ধ বাজার চলতি অন্যান্য জিলিপির থেকে একেবারে অন্যরকম। আগে ঘাটালের অনেক দোকানে গুড়ের জিলিপি তৈরি হলেও এখন হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি দোকানে পাওয়া যায় এই মিষ্টি। ক্রমশ বিলুপ্তির মুখে অতি প্রাচীন এই বিশেষ ধরনের জিলিপি।
ঘাটাল পান বাজারের এক বিক্রেতা বলেন এই মিষ্টি আমরা বংশপরম্পরায় তৈরি করি এবং বিক্রি করি।বিশেষ ধরনের গুড় থেকে তৈরি এই মিষ্টি খাবার চাহিদা প্রতিদিনই থাকে। বাজার চলতি জিলিপির থেকে এর দামও অনেকটাই কম। বর্তমানে ১০০ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে।সঠিক ভাবে প্রচারের অভাবে জেলার মধ্যে একমাত্র ঘাটাল শহরে তৈরি এই বিশেষ ধরনের জিলিপি বহু মানুষের কাছে এখনো অচেনা। বহু মানুষ এরস্বাদ থেকে এখনো বঞ্চিত।