তনুপ ঘোষ, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: মহালয়াতেই যে শুধু তর্পণ এর মাধ্যমে পূর্বপুরুষ ও মৃত পিতা মাতার উদ্দেশ্যে গঙ্গাজল দিয়ে তাদের আত্মার শান্তি কামনা করা হয় সেই রীতিকে বুড়ো আঙুল দেখালেন চন্দ্রকোণার সোমদত্তা।
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বাবার। রক্তদানের মাধ্যমে ১৯ বছর ধরে স্মৃতি তর্পণ মেয়ে সোমদত্তা ও পরিবার। পথ দুর্ঘটনায় অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় বিবেকানন্দ করণের। রক্তদান আন্দোলনের এক কর্মীর ছিলেন বিবেকানন্দ করন। জানা যায় চন্দ্রকোনার বাঁকা গ্রামের উদ্যোগপতি বিবেকানন্দ করন মিটিং সেরে বাড়ি ফেরার পথে আঁধারনয়নের কাছে পথ দুর্ঘটনার জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। বিবেকানন্দ করনের একমাত্র মেয়ে সোমদত্তা তখন সবেমাত্র দু’বছরের শিশু। ২০০৫ সালে ২৯ শে মে ঘটনাটি ঘটে। তারপর থেকে ২০০৬ সাল থেকে টানা বিবেকানন্দের পরিবার ২৯শে মে বাড়িতেই একটি রক্তদান শিবির আয়োজন করেন। শিবিরে আত্মীয় বন্ধু শুভার্থী সহ এলাকাবাসীরা রক্তদানের এগিয়ে আসেন। ঘরোয়া ভাবেই রক্তদান শিবিরটি দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে হয়ে আসছে। বিবেকানন্দের মেয়ে সোমদত্তা বর্তমানে কলেজ পড়ুয়া। এখন শিবিরটি পুরোপুরি সোমদত্তা নিজে পরিচালনা করেন। সঙ্গে তার মা ও কাকু বিদ্যাসাগর সহযোগিতা করে। সোমদত্তার কথায় শুনেছি বাবা ব্যবসা ছাড়াও এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যায় উপকার করতেন। আমি তাই বাবাকে অনুসরণ করে, তার মৃত্যু দিনে মানুষের জন্য রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে আসছি। আমি যতদিন পারবো ততদিনই এই শিবিরটি করে যাব, এটাই আমাদের পরিবারের অঙ্গীকার। আজকের শিবিরে ৪৫ জন রক্তদাতা রক্তদান করেন। রক্ত সংগ্রহ করেছে ঘাটাল ব্লাড সেন্টার।