তৃপ্তি পাল কর্মকার, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: বিদ্যালয়ের বার্ষিক পরীক্ষা(Annual Examination) হঠাৎ কেন বাতিল করা হল? যেখানে পরীক্ষার্থী অর্থাৎ ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষা [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] দিতে বিদ্যালয়ে হাজির সেখানে শিক্ষক শিক্ষিকারা(Teachers) কেন অনুপস্থিত(absence)? এভাবে হঠাৎ করেই পরীক্ষার দিনই পরীক্ষা বাতিল করতে পারা যায়? শিক্ষা ব্যবস্থাকে(Education system) এই বিদ্যালয় একেবারে ঠাট্টা তামাশার জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে। এমন একাধিক অভিযোগ(complaint) দাসপুরের নবীন মহেশপুরের কেকেবি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং তাদের বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিকাঠামো ঘিরে। এই অভিযোগ তুলেই শুক্রবার বেলা প্রায় দেড়টা থেকে বিদ্যালয়ের মূল গেটে বিক্ষোভে সামিল অভিভাবকরা। তাদের অভিযোগ, গত মঙ্গলবার থেকে ওই বিদ্যালয়ের বার্ষিক বা ফাইনাল পরীক্ষা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবারও পরীক্ষা(Exam) হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রছাত্রীরা দেখে বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে সব্বাই প্রায় অনুপস্থিত। হাতে গোনা ২ জন শিক্ষক এসেছিলেন। বাতিল করা হয় ওই দিনের সমস্ত ক্লাসের পরীক্ষা। বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় ছাত্র ছাত্রীদের। বিষয়টি জানাজানি হতেই অভিভাবকরা জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের তরফ থেকে জানানো হয় বৃষ্টির জন্য নাকি পরীক্ষা বাতিল। সামান্য ২ ফোঁটা বৃষ্টির জন্য বছরে শেষ পরীক্ষা এভাবে বাতিল সম্ভব? তাহলে দাসপুরে(Daspur) অন্যান্য স্কুল গুলোতে কি বৃষ্টি হয়নি? সেখানে তো পরীক্ষা চলছে। অভিভাবকদের(Gurdian) পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক এর সাথে যোগাযোগ করা হয়। অভিভাবকরা জানান, অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক(School Inspector) তাঁদেরকে স্পষ্ট জানান এমন হওয়ার কথা নয়। এভাবে পরীক্ষা বাতিল করা যায় না। এর পরই আজ শুক্রবার ওই বিদ্যালয়ের গেটের কাছে তারা বিক্ষোভ দেখান। এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের(Headmaster) কাছে সমস্ত বিষয়টির কারণ জানতে চান। নবীনমহেষপুর কেকেবি হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক অজয় পোড়ে ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, গতকাল খুব বৃষ্টি হচ্ছিল। ছাত্রছাত্রীরা ভিজেভিজে স্কুলে এসে পরীক্ষা দিলে শরীর খারাপ লাগবে সেজন্য পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের এই কথায় প্রেক্ষিতে অভিভাবকদের বক্তব্য ছাত্রছাত্রীদের নয় বরং বৃষ্টিতে বিদ্যালয়ে এলে শিক্ষকদের শরীর খারাপ হবে সেই ভেবেই পরীক্ষা বাতিল।