জমিতে ফসলের অবশিষ্টাংশ পোড়ানো যাবে না, হতে পারে জরিমানাও

মন্দিরা মাজি: খড় বা নাড়া পোড়ানো বন্ধ করতে রাজ্য সরকারের কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে রাজ্যের সমস্ত কৃষকদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে বিশেষ শিবির। ঘাটাল মহকুমার যে পাঁচটি ব্লক রয়েছে প্রতিটি ব্লকেই আজ ৩ নভেম্বর এই নিয়ে বিশেষ শিবির করা হয় মহকুমা কৃষি দপ্তরের উদ্যোগে। প্রতিবছরই এই দিনটিতে কৃষকদের নিয়ে এই বিষয়ে সচেতনতা শিবির করা হয়।
আসলে এই নাড়া পোড়ানো বিষয়টি ঠিক কী এবং কেন তা পোড়ানো ঠিক নয় তা নিয়ে ঘাটাল মহকুমা সহ-কৃষি অধিকর্তা শ্যামাপদ সাঁতরা(প্রশাসন) বলেন, আমাদের মহকুমায় বেশিরভাগ অংশই কৃষিপ্রধান এলাকা। অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ধান চাষও হয় বিস্তৃর্ণ এলাকা জুড়ে। কিন্তু আমরা দেখেছি ধান চাষের পর যখন ধান কেটে নেওয়া হয় জমিতে খড়ের অবশিষ্ট অংশ পড়ে থাকে। চাষিরা অনেকেই জমিতে পরবর্তীতে চাষের সেগুলিকে জ্বালিয়ে দেন। এরফলে কী হয় মাটিতে ক্ষতিকারক পোকামাকড়ের সাথে যেসব উপকারী ব্যাকেটিরা, জীবাণু থাকে সেগুলিও নষ্ট হয়ে যায়। সেইসঙ্গে মাটি অনেকটাই শক্ত হয়ে যায়। এরফলে পরবর্তী সময়ে যা চাষ করা হয় সেক্ষেত্রে উৎপাদনে অনেকটাই ঘাটতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। এছাড়াও নাড়া বা খড় পোড়ানোর সময় বিভিন্ন ধরনের ক্ষতিকারক গ্যাস সৃষ্টি হয় যেমন কার্বন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড উৎপন্ন হয় যেগুলি পরিবেশের ক্ষতি করে বাতাসের সঙ্গে মিশে।
শ্যামাপদবাবু আরও জানান, অন্যান্য রাজ্য এইভাবে নাড়া বা খড় পোড়ানো বেশি লক্ষ করা গিয়েছে। তবে আমাদের রাজ্যের পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান এই জায়গাগুলিতেও হয়। এই কাজ আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এর জন্য জরিমানাও হতে পারে। তাই কৃষি দপ্তরের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি নিয়ে চাষিদের সচেতন করার উদ্দেশ্যে আজকের এই শিবির।

ঘাটাল মহকুমার সমস্ত আপডেট তে যুক্ত হন আমাদের সাথে!

•‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সাংবাদিক। ঘাটাল মহকুমার যেকোনও খবর আমাকে সরাসরি পাঠাতে পারেন। মো: 9933998177/ 9732738015