তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: দাসপুর-২ ব্লকের জোৎঘনশ্যামের বাসিন্দা যুবক আবীর হুদাইত শুক্রবার সকালে নেপালের অতি দুর্গম ‘আমা ডাবলাম’ (৬৮১২ মিটার) শৃঙ্গ জয় করলেন। আবীরবাবুর বাবার নাম আশিস হুদাইত। আশিসবাবু তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি। ইঞ্জিনিয়ারিঙের [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] ছাত্র বর্তমানে বহুজাতিক একটি সংস্থায় চাকরি করেন। এভারেস্ট, অন্নপূর্ণার মতো আটহাজারি শৃঙ্গগুলির তুলনায় এটি কম উচ্চতার হলেও গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কারণে এই শৃঙ্গে আরোহণ বেশ কঠিন। পর্বতারোহণের পরিভাষায় এই ধরনের শৃঙ্গকে বলা হয় ‘টেকনিক্যাল পিক’। এভারেস্টজয়ী অনেক পর্বতারোহী এই শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছেন অতীতে। তাই পেশায় তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী ও নেশায় পর্বতারোহী আবীরের জন্য এই কাজ মোটেও সহজ ছিল না।
আবীরবাবুর পরিবার ও ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে তিনি নেপাল, ভারতের হিমাচল প্রদেশ, এমনকী আফ্রিকার বিভিন্ন শৃঙ্গ জয় করেছেন। অক্টোবর মাসের গোড়াতে তিনি মধ্যমগ্রাম থেকে নেপালের উদ্দেশে রওনা হন। ১৬ অক্টোবর নাগাদ তিনি এবং নেপালের নুরু গ্যালজেং শেরপা কাঠমাণ্ডু থেকে আমা ডাবলামের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। অবশেষে শুক্রবার সকালে তাঁদের লক্ষ্য পূরণ হয়। দু’জনেই শৃঙ্গ শীর্ষে পৌঁছন। বছর তিরিশের আবীর আমা ডাবলামের পাশাপাশি এই অভিযানে নেপালের লবুচে ইস্ট শৃঙ্গও জয় করেছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আত্মীয়রা। আবীরবাবুর এই কৃতিত্বের জন্য তাঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। তাঁর এই সাফল্য দাসপুরবাসীর পাশাপাশি মধ্যমগ্রামের বাসিন্দাদেরও গর্বিত করেছে। কারণ, আবীরবাবু কর্মসূত্রে মধ্যমগ্রামে থাকেন। আশিসবাবু বলেন, “আমার ছেলের এই সাফল্যে আমি খুব খুশি। সে অনেক কষ্ট করে এই সাফল্য অর্জন করেছে।” আর আবীরবাবুর প্রতিক্রিয়া, “আমার এই সাফল্য আমার পরিবার, বন্ধুবান্ধব ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের জন্য। আমি তাদের সকলের কাছে কৃতজ্ঞ। আমি পরবর্তীতে আরও উচ্চতর শৃঙ্গ জয়ের চেষ্টা করব।”