চন্দ্রকান্ত পাইক, চন্দ্রকোণা: গুগল মিটে বিদ্যাসাগরকে নিয়ে আলোচনা চক্রের আয়োজন করল চন্দ্রকোণা মহাবিদ্যালয়। আজ ২৯ জুলাই(২০২০) পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী চক্রে প্রয়ান দিবসে (জন্ম ২৬ সেপ্টেম্বর ১৮২০ – মৃত্যু ২৯ জুলাই ১৮৯১)চন্দ্রকোণা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ, সংস্কৃত বিভাগ এবং কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার বিভাগের যৌথ উদ্যোগে ওই আলোচনা চক্রটি হয়। আলোচনা চক্রের শিরোনাম ছিল ‘চেতনার নাম পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর’। উদ্বোধন ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন চন্দ্রকোণা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুমিতা মল্লিক। গুগলমিটের এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে এক দিনের সেমিনারে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোপা দত্ত ভৌমিক, নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. মননকুমার মণ্ডল এবং যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.বরেন্দু মণ্ডল। এই সেমিনারে পাঁচশতাধিক অধ্যাপক, গবেষক ও ছাত্রছাত্রী অংশ গ্রহণ করেন। প্রচুর গবেষণা পত্র সেমিনারে গ্রহণের জন্য প্রেরিত হয়। বিদ্যাসাগরীয় যুগে সমাজ, সংস্কার, যুক্তিবাদ বনাম ভাববাদ সহ বহু অজানা বিষয় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেন। বক্তাগণ ক্রমান্বয়ে উচ্চশিক্ষা ও বিদ্যাসাগর, আমরা কেন বিদ্যাসারকে মনে রাখবো এবং তৃতীয় বক্তার বিষয় ছিল নাস্তিক বিদ্যাসাগরের ধর্ম।
অনুষ্ঠানের শুরুতে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক সুমিতা মল্লিক বলেন, সমাজে অবক্ষয়ী মূল্যবোধ,দায়িত্ব কর্তব্য রোধে বিদ্যাসাগর আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক ও সময়োপযোগী। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোপা দত্ত ভোমিক শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের ভুমিকা এবং আগামীদিনে শিক্ষার প্রসারে আমাদের আরোবেশী সজাগ থাকবার কথা বলেন। তিনি বলেন, শিক্ষার প্রসারিত হোক জীবনের জন্য,যুক্তিবাদী শক্তিশালী সমাজের জন্য। কেন দুই শত বৎসর পরও বিদ্যাসাগকে মনে রাখছি কিংবা সরকার মনে করতে বাধ্য হচ্ছে তা নিয়ে সবিস্তারে আলোচনা করেন অধ্যাপক ড. মননকুমার মণ্ডল। তিনি বলেন, বহু কারণের জন্যই মানুষের মননে চিন্তনে বিদ্যাসাগরের প্রভাব আছে এবং থাকবে। অধ্যাপক ড. বরেন্দু মণ্ডল তাঁর তথ্য সমৃদ্ধ যুক্তি পূর্ণ বক্তব্যে নাস্তিক বিদ্যাসাগরের মানবিক ধর্ম সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেন। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে নাট্য গবেষক মৌ চক্রবর্তী বিদ্যাসাগরের নাটক ভাবনার বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন। চন্দ্রকোণা বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয়ের পক্ষে যৌথ আহ্বায়ক চন্দ্রকান্ত পাইক এবং ড. অর্পিতা ঘোষ সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে আলোচনাসভার সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।