নিজস্ব সংবাদদাতা, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের উদ্যোগে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালিত হল। কলেজের প্রাণীবিদ্যা, উদ্ভিদবিদ্যা, পদার্থবিদ্যা, রসায়নবিদ্যা, শারীরবিদ্যা, গণিত, ভূগোল, কম্পিউটার সায়েন্স এবং পুষ্টিবিদ্যার ব্যবস্থাপনায় সেমিনার হলে মর্যাদার সঙ্গে এই দিবসটি পালন করা হয়।‘Indigenous Technologies for Viksit Bharat’. প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যাসাগর টিচার্স ট্রেনিং কলেজের পদার্থবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড: বিশ্বজিৎ সেন। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড: মন্টু কুমার দাস, উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের প্রধান জহিরুদ্দিন মোল্লা, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ড: মধুমিতা মন্ডল, রসায়নবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও IQAC কোঅর্ডিনেটর ড: কৌশিক ঘোষ, গণিত বিভাগের অধ্যাপক ও NAAC কোঅর্ডিনেটর মৃন্ময় গুঁইয়া সহ বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক এবং ছাত্রছাত্রীরা।
প্রসঙ্গত, ২৮শে ফেব্রুয়ারি ভারতে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে পালিত হয়। এই দিনটি বিখ্যাত ভারতীয় পদার্থবিদ স্যার চন্দ্রশেখর ভেঙ্কট রমনের রমন প্রভাব আবিষ্কারের স্মরণে পালন করা হয়। ১৯২৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি রমন এই ঘটনা আবিষ্কার করেছিলেন, যার জন্য তিনি ১৯৩০ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। জাতীয় বিজ্ঞান দিবস পালনের ইতিহাস ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বক্তরা বলেন, ১৯৮৬ সালে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা যোগাযোগ আয়োগ (NCSTC) ভারত সরকারের কাছে ২৮ ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবেদন করে। পরে সরকার এই আবেদনের অনুমোদন দেয়। ১৯৮৭ সাল থেকে এটি গোটা দেশজুড়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়, অন্য অন্য শৈক্ষিক, বৈজ্ঞানিক, কারিগরী, চিকিৎসা, গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহে পালন করা হয়।NCSTC বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা প্রসার ও জনপ্রিয় করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান যোগে প্রতিষ্ঠানসমূহকে জাতীয় বিজ্ঞান জনপ্রিয়করণে পুরস্কার দিতে শুরু করে। জাতীয় বিজ্ঞান দিবসের উদ্দেশ্য, দেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করা। বিজ্ঞানী ও গবেষকদের অবদানের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কর্মজীবন গড়ে তোলার জন্য অনুপ্রাণিত করা।