নিজস্ব সংবাদদাতা,’স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: টানা বৃষ্টি আর তার জেরে শিলাবতী নদীর জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় এমনই চরম দুর্ভোগের ছবি উঠে এল চন্দ্রকোণা-২ ব্লকের চৈতন্যপুরে।
[✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]
ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের চৈতন্যপুরে শিলাবতী নদীর উপর গ্রামবাসীদের উদ্যোগে তৈরি করা একটি কাঠের সেতু বুধবার বেলা গড়াতেই জলে ডুবে যায়। এই সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াত ভগবন্তপুর-১ ও ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রামের মানুষজনের। নদীর একপ্রান্তে রয়েছে চৈতন্যপুর, পাঁচামী, নিত্যানন্দপুর, কৃষ্ণপুর সহ বেশকিছু গ্রাম, অপরপ্রান্তে রয়েছে কেশেডাল, ভগবন্তপুর, খিরেটি সহ চন্দ্রকোণায় যাতায়াত।চৈতন্যপুরে নদী পাড়ে রয়েছে উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, চৈতন্যপুর জুনিয়র হাইস্কুল। কাঠের সেতু সম্পূর্ণ জলে ডুবে যাওয়ায় স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্কুলে পৌঁছাতে না পেরে ঠায় দাঁড়িয়ে স্কুল পড়ুয়া থেকে স্বাস্থ্য কর্মীরা। একপ্রকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন চৈতন্যপুর ও কেশেডাল এলাকার। এলাকাবাসীর অভিযোগ, চৈতন্যপুরে ভগবন্তপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তরফে বছর দুই আগে লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে একটি কাঠের সেতু তৈরি করা হলেও তা দু’বছর আগে বন্যায় ভেঙে যায়। তারপর থেকে নতুন করে আর সেতু তৈরির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।গ্রামবাসীরাই নিজেদের উদ্যোগে একটি কাঠের সেতু তৈরি করে যাতায়াতের ব্যবস্থা করে। সেই সেতুই বর্তমানে শিলাবতী নদীর জলের তলায়।প্রতিবছর বর্ষার সময় নদীর জল বাড়লেই এমন ভোগান্তির শিকার হতে হয় এলাকাবাসী থেকে স্কুল পড়ুয়া-শিক্ষক থেকে স্বাস্থ্য কর্মী ও হাজারও পথচলতি মানুষদের। প্রশাসনের তরফে কোনও স্থায়ী সমাধানের উদ্যোগ না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ সকলেই। নদীর জল বেড়ে কাঠের সেতুটি ডুবে গিয়ে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলেও প্রশাসনের তরফে নদী পারাপারে কোনও নৌকার ব্যবস্থা করা হয়নি বলে অভিযোগ। স্বাস্থ্য কর্মীরা জানান, এই কাঠের সেতু দিয়েই যাতায়াত করতে হয় আজ এসে দেখলাম সেটি ডুবে গিয়েছে, নৌকারও কোনও ব্যবস্থা নেই। অফিসে জানিয়েছি দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে হবে।