নিজস্ব সংবাদদাতা,’স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: গ্যাসের দাম বাড়ছে, গ্রাম বাংলার দিন আনি দিন খাই মানুষের কাছে জ্বালানি হিসেবে ভরসা গাছ [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] পালার ডাল বা শস্যের ভুষি খাঁচি এইসব। সেগুলো বছরভর মজুত করতে হয়। কেননা, এই সব জ্বালানি ভেজা ব্যবহার করা যায় না। এই মজুত জ্বালানি থেকেই বিপদ আসতে পারে আচমকাই।
চন্দ্রকোণা থানার গন্ধবেড়িয়া গ্রামে এক গৃহস্থ উনুনের পাশেই বছরকার জ্বালানি মজুত রেখেছিলেন। তার ভেতরেই বাসা বেঁধেছিল গোখুরো দম্পতি। ডিম পেড়ে বাচ্চা ফুটে যাওয়ার পরেও শুকনো ডিমের খোলা আগলে বসেছিল দুটো প্রকাণ্ড গোখুরো।
গৃহিনী জ্বালানি আনতে যেতেই ফোঁসফোঁস শব্দ। প্রথমটায় তারা ভেবেছিলেন দাঁড়াশ সাপ বা ঢ্যামনা। তার পরেও গর্জন শুনে বনদপ্তরে ফোন করেন। সাপ গর্জন করছে মানেই সেটা দাঁড়াশ নয়, দাঁড়াশ গর্জন করে না। বনদপ্তরের ওয়াইল্ড লাইফ রিকোভারি টিমের সদস্য মলয় ঘোষ দুটি সাপের মধ্যে একটিকে উদ্ধার করেন, একটি ছুটে পালিয়ে যায়। এই বর্ষাকাল মানে সাপের উপদ্রব থাকবেই। যাদের জ্বালানি মজুত করে রাখতে হয় তারা সাবধানে জ্বালানি টানবেন। সাপ এখন জোড়ায় জোড়ায় থাকছে, বিপদ কিন্তু আরও বেশি। ফিনাইল ব্লিচিং বাড়ির চারপাশে নিয়মিত ব্যবহার করুন।