কুণাল সিংহরায়, ‘স্থানীয় সংবাদ’, ঘাটাল: ১৮৫৫ খ্রীস্টাব্দের ৩০ জুন সিধু-কানুর নেতৃত্বে প্রায় ১০ হাজার আদিবাসী যুবক ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইংরেজ শাসকদের বিরুদ্ধে। তীর ধনুক দিয়ে নিজেদের অধিকার বজায় রাখতে ও জমিদার-ইংরেজদের শোষণ ও অত্যাচারের বদলা নিতে। বিহারের ভাগলপুর সন্নিহিত ভাগনাডিহি অঞ্চলে শুরু হলেও এই সশস্ত্র আন্দোলন বাংলাদেশেও ছড়িয়ে পড়েছিল। চাঁদ ও ভৈরবের নেতৃত্বে বাংলার আদিবাসীরা মুর্শিদাবাদ পর্যন্ত এগিয়ে এসেছিল। সশস্ত্র আন্দোলনের আগেই কানুর হাতে নিহত হয়েছিলেন দারোগা মহেশলাল দত্ত। ইংরেজরা ভয়ে পালিয়েছিল ভাগলপুর ছেড়ে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি, প্রায় সাতমাস হুল বা বিদ্রোহ চালিয়ে গেলেও ইংরেজ পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিধু। ফাঁসিতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় কানুকে। ভারতের স্বাধীনতার ইতিহাসে এটিই ছিল প্রথম সশস্ত্র আন্দোলন।
সেই দিনটির স্মরণে ১৬৯ তম হুল দিবস পালিত হল যথাযোগ্য মর্যাদায় বীরসিংহ সিধু-কানু ক্লাবের ব্যবস্থাপনায়। ধামসা মাদোলের সাথে সাথে চিরাচরিত প্রথায় অংশ নিলেন আদিবাসী যুবক- যুবতীরা। উদ্যোক্তা সনাতন সরেন জানালেন, সিধু-কানুর ছবি ও বেদীতে আদিবাসী প্রথানুযায়ী কলসিভরা জল এনে আদিবাসী যুবতীরা শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন নায়ক সিধু-কানুকে।