তনুপ ঘোষ, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল:শুধুমাত্র ক্ষীরপাইয়ের মতো [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন]একটি ছোট ফাঁড়ি এলাকা থেকে পনেরো দিনে গৃহবধূ, যুবতী এবং কিশোরী মিলে ৫ জন মহিলা পলাতক। তাহলে সারা ঘাটাল মহকুমায় ওই সংখ্যাটা কত দাঁড়াতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। প্রশাসন আছে, প্রচার আছে, তারপরও ক্ষীরপাই ফাঁড়িতে ১৫ দিনে ৫ জন মহিলা নিরুদ্দেশ হয়। অবাক করা ব্যাপার কোন ক্ষেত্রেই সরকারি নথিতে কোন কেস লিপিবদ্ধ হয়নি। আজ ১০ মার্চ চন্দ্রকোনার-১ বিডিও অফিসের কার্যালয়ের আন্তর্জাতিক নারী সপ্তাহ উপলক্ষে নারীদের আইন অধিকার নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে ক্ষীরপাই ফাঁড়িরর আই সি গোবর্ধন সাহু বলেন, গত ১৫ দিনে কিশোরী-যুবতী-গৃহবধূ করে শুধু মাত্র ক্ষীরপাই ফাঁড়ি এলাকায় পাঁচজন পালিয়ে গিয়েছেন। বাড়ির লোকের অসহযোগিতার জন্য আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। খোদ প্রশাসনের কর্তার স্বীকারোক্তিতেই প্রমাণ হচ্ছে সরকারি দপ্তরের প্রচার আছে, কন্যাশ্রী ক্লাব আছে, বন্ধু মঙ্গল ক্লাব আছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। প্রচারে ঘাটতি সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রচারের অভাব প্রমাণ হচ্ছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে জেলায় অজানা এই ধরনের ঘটনা ঘটেই যাচ্ছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক দিব্যেন্দু নাথ বলেন এই ধরনের ঘটার জন্য অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা কাজ করে। সাথে সাথে স্কুলগুলিকে আরও বেশি করে সর্দ্থক ভূমিকা পালন করতে হবে। অনুষ্ঠানে জেলা লিগাল সার্ভিস অথরিটির সম্পাদক দিব্যেন্দু নাথ ছাড়াও ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঘাটাল আদালতের সিভিল জজ(জুনিয়র ডিভিশন) উসনিশ দত্ত, চন্দ্রকোণা-১ বিডিও রথীন্দ্রনাথ অধিকারী, মেদিনীপুর ল-কলেজের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর পিয়ালী দত্ত, ক্ষীরপাই ফাঁড়ির ইনচার্জ গোবর্ধন সাহু, এক সাব ইন্সপেক্টর সম্পূর্ণা দাস প্রমুখ। আন্তর্জাতিক নারী দিবস সপ্তাহকে সামনে রেখে ওই শিবিরে নারীদের অধিকার, কর্তব্য, মহিলারা কিভাবে আইনি সহায়তা পাবেন তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ৪ থেকে ১১ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস সপ্তাহ পালন হচ্ছে জেলা জুড়ে। ওই সাত দিন ধরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ ধরনের কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।