তৃপ্তি পাল কর্মকার, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল: তিন পেরিয়ে চারে পা। সেকেন্দ্রাবাদে বসে কেক কাটল দিব্যা। কিন্তু তার জন্মদিন পালিত হল চাঁদপুরের [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] একটি স্কুলে, যেখানে পিছিয়ে পড়া পরিবারের ছেলে মেয়েরা পড়ে। ৪০ টি বাচ্চা দিব্যার জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিল স্কুল থেকে, মাঝের সুঁতোটা বেঁধে দিল দাসপুরের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কুইজ ও ম্যানিয়া’। দিব্যার পরিবারের তরফে আয়োজন থেকে উপহার কোনও খামতিই রাখা হয়নি। আর পাঁচটা দিনের থেকে আজ শুক্রবার চাঁদপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্রের পরিবেশটা ছিল একটু আলাদা। আজ ৫ আগস্ট সকাল সকাল পড়াশুনার পাঠ শেষ করে শিশুরা মেতে উঠল দিব্যার জন্মদিন পালনে। ইচ্ছে মত আনন্দ করল তারা, জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া তো ছিলই। দাসপুর থানার আরিটের বাসিন্দা কর্মসূত্রে সেকেন্দ্রাবাদ নিবাসী বিশ্বজিৎ দাওয়া। রাজ্যের বাইরে থাকলেও নিজের কন্যার জন্মদিনের আনন্দ ভাগ করে নিলেন নিজের এলাকার অপেক্ষাকৃত পিছিয়ে থাকা এলাকার ছোট ছোট শিশুদের মধ্যে খুশি বিতরণের মাধ্যমে। বিশ্বজিৎবাবুর কন্যা দিব্যার তিন বছর পূর্ণ করে চতুর্থতম জন্মদিন আজ।
শিশুদের দুপুরের ভোজে ছিল আলুভাজা, ভাত, ডাল, চিকেন, মিক্সড ভাজি, দই, মিষ্টি, পাঁপড়। শিশুদের নিয়ে কেক কাটা, চকলেট বিতরণ ও বেশ কিছু উপহার সামগ্রীর ব্যবস্থা করেছিলেন বিশ্বজিৎবাবু। তবে কুইজ ও ম্যানিয়ার উপহার সামগ্রীতে ছিল ড্রয়িং খাতা, কলম, পেনসিল ইত্যাদি। সব মিলিয়ে শিশুদের মধ্যে ছিল এক উৎসবের মেজাজ। বিশ্বজিৎ বাবুর এই ব্যতিক্রমী ভাবনাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন, ঘাটাল মহকুমার মানুষ।
কুইজ ও ম্যানিয়ার সম্পাদক সন্দীপ দে জানিয়েছেন, নিজের জন্মভূমি থেকে অনেক দূরে থেকেও নিজের এলাকার প্রান্তিক শিশুদের নিয়ে কন্যার জন্মদিন পালন খুবই দৃষ্টান্তমূলক। সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে খুশি বিতরণের এই উদ্যোগকে আমি এবং আমার টিম কুই্যজ-ও-ম্যানিয়া কুর্নিশ জানাই। গতানুগতিক জীবনধারা থেকে বেরিয়ে এসে সামর্থ অনুযায়ী সবাইকেই সমাজের জন্য নতুন কিছু করার জন্য আহ্বান জানাই।