সৌমেন মিশ্র: স্বেচ্ছায় রক্তদান খুবই কি সাধারণ বিষয়?বর্তমানে [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] রক্তদানের অনুষ্ঠানগুলি দেখে অন্তত তাই মনে হয়। একটা রক্তদান শিবির মানেই এখন রক্তদাতার বেডের ছবি বা হাতে শক্ত কিছু একটা চেপে ধরে থাকার দৃশ্য আর মানস চোখে ভাসে না। এখন রক্তদান শিবির মানেই একটা গোছানো স্টেজ,হেভিওয়েট অতিথি,তাদের বরণ,বিশেষভাবে সম্বর্ধনা।
এই গরমে বেডে শুয়ে ঘর্মাক্ত রক্তদাতা হাতা গুড়িয়ে,সূচ ধরে চিকিৎসক বা স্বেচ্ছাসেবক উদ্বোধনের অপেক্ষায়। সভার সভাপতি বিশেষ অতিথিদের রক্ত গরমকরা বক্তব্য শেষে শুরু হবে রক্তদানের কর্মসূচী। ততক্ষণে রক্তদাতাদের মানসিক অবস্থাটা কোথায় যায়! স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরে একজন রক্তদাতা রক্ত দিলে তাকে দেওয়া হয় পুষ্টিকর কিছু আহার সাথে একটা গিফট।
আচ্ছা এমন একটা অন্তত শিবিরের নাম বলুম যেখানে বিশেষ অতিথি রক্তদাতারা। নিজের জীবনের জীবনী স্রোত এক জন মানুষ অন্যজনকে বাঁচাতে দান করছেন। ওই রক্তদাতার এই ত্যাগ নিয়ে আমরা কে কবে মাইক্রোফোন ধরে তাঁদের উদ্বুদ্ধ করেছি? রক্তদাতারা কিন্তু চাইছেন রক্তদান শিবির হোক অ-মাইক। দাসপুরের রাজনগরের এক রক্তদাতা বিধান দোলই জানাচ্ছেন রক্তদান কালে মাইকের এই আওয়াজ বড্ড বিরক্তিকর শুধু নয় অস্বস্তিকরও।
রক্তদান শিবির অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সামাজিক কাজ। কিন্তু এর বাহারী আয়োজনে,অতিথি সেবায় হাজার হাজার টাকা খরচ হয়। কিন্তু ওই বিষয়টি বাদ গেলে কয়েক হাজার টাকাও অতিরিক্ত খরচ হবে না। সে টাকায় আবারও এমন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবিরের আয়োজন হবে। এই রক্তদান শিবিরের আয়োজনের খরচের ভয়ে পিছপা হবে না ছোটো ছোটো ক্লাব বা সংস্থাগুলিও। বাড়বে রক্তদান শিবিরের সংখ্যা,মিটবে রক্তের চাহিদা।