তৃপ্তি পাল কর্মকার, ‘স্থানীয় সংবাদ’ ঘাটাল: ন্যাশনাল মিনস-কাম-মেরিট স্কলারশিপের [✔‘স্থানীয় সংবাদ’-এর সমস্ত কিছু জানতে এখানে ক্লিক করুন] পরীক্ষায় (এনএমএমএসই-২০২১) পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেধা তালিকায় ঘাটাল মহকুমার ছাত্রছাত্রীরাই এগিয়ে রইল। নম্বরের ভিত্তিতে জেলার প্রথম তিনে মোট চার জন রয়েছে। তার মধ্যে তিন জনই ঘাটাল মহকুমার। ১৬১ নম্বর পেয়ে প্রথম হয়েছে দাসপুর-২ ব্লকের খুকুড়দহ ঈশ্বরচন্দ্র মাজি মেমোরিয়াল হাইস্কুলের ছাত্রী মামণি সামন্ত। যুগ্ম দ্বিতীয় হয়েছে ওই ব্লকেরই গোপালপুর দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলের ছাত্র অনীক আদক এবং ঘাটাল ব্লকের লছিপুর হাইস্কুলের সায়ন ভক্তা। ওই দুজনের প্রাপ্ত নম্বর ১৬০ করে। এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে সবং-এর শ্যামসুন্দরপুর হাইস্কুলের শুভঙ্কর সামন্ত। শুভঙ্কর ১৫৯ নম্বর পেয়েছে। জেলা থেকে মোট ৪৬৩ জনকে এই মেধাবৃত্তি দেওয়া হবে। তারা বছরে ১২ হাজার টাকা করে পাবে। যদি নিরবচ্ছিন্ন পড়াশোনা চালিয়ে যায় এবং প্রত্যেক ক্লাসের চূড়ান্ত পরীক্ষা ৬০ শতাংশ করে বা তার বেশি নম্বর পায় তাহলে ছাত্রছাত্রীরা মোট পাঁচ বছর, বছরে ১২ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা পাবে।
ওই পরীক্ষায় বসতে হলে ছাত্র বা ছাত্রীর পরিবারের বার্ষিক আয় দেড় লক্ষ টাকার নীচে হতে হবে। সেই সঙ্গে অষ্টম শ্রেণির বা ওই সমতুল্য পরীক্ষায় গড় নম্বর ৫৫ শতাংশ বা তার বেশি থাকতে হবে। অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের জন্য ২০২১ সালের এই পরীক্ষাটি এবছর জানুয়ারি মাসে হয়েছিল। তাই ওই সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা সকলেই বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ে। একই দিনে ৯০ নম্বর করে মোট দুই অর্ধে দুটি পরীক্ষা হয়েছিল। একটি ছিল ‘এমএটি‘(মেন্টাল এবিলিটি টেস্ট) অন্যটি ‘এসএটি’(গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও ভূগোল)।
শিক্ষা দপ্তর প্রত্যেক জেলার জন্য একটি করে তালিকা প্রকাশ করেছে। সার্বিক বিচারে পূর্ব মেদিনীপুর ভালো ফল করেছে। ওই পরীক্ষায় রাজ্যের মধ্যে এবার সবচাইতে বেশি নম্বর পেয়েছে বালিগঞ্জ গভর্মেন্ট হাইস্কুলের ছাত্র অহন মালো। তার প্রাপ্ত নম্বর ১৬৪।
লছিপুর হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতি সোমেশ চক্রবর্তী বলেন, স্কুল খুললেই আমরা সায়নকে সংবর্ধনা দেব।