মেহেবুব আলম, অতিথি প্রতিবেদক, স্থানীয় সংবাদ, ঘাটাল[M:94746 23620]: গোলাপী রাধাচূড়া।ঝোপালো আকৃতির গুল্ম জাতীয় গাছ। ১০/১২ ফুট লম্বা হয়। আদি নিবাস ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাণ্ড মাটির কাছেই কয়েকটি শাখায় বিভক্ত হয়ে যায়। কাণ্ড ও ডালে কাঁটা থাকে। ফুল কৃষ্ণচূড়ার থেকে ছোট। ফুলে পাঁচটি পাপড়ি, দশটি পুংদণ্ড ও একটি গর্ভদণ্ড আছে। পুংদণ্ডের আগায় ছোট্ট পরাগধানী আছে। রাধাচূড়ার পুংদণ্ড ও গর্ভদণ্ড ফুলের তুলনায় বেশি লম্বা। এগুলি ফুল থেকে অনেকটা বাইরে বেরিয়ে থাকে। ফুলের মঞ্জরি অনেকটা প্যাগোডার মত উপরের দিকে উঠে যায়। প্রায় সারা বছরই ফুল ফোটে। ফলগুলো দেখতে শিমের মতো। ভিতরে ৮/১০ টি বীজ থাকে। সেই বীজে চারা হয়।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের বার্বাডোজের জাতীয় ফুল এই রাধাচূড়া। রাধাচূড়ার বীজ বিষাক্ত। আফ্রিকার কৃষ্ণাঙ্গ ক্রীতদাস যাঁরা চাইতেন না তাঁদের সন্তানও ক্রীতদাস হয়ে কষ্টের জীবনযাপন করুক, তাঁরা গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট করতে রাধাচূড়ার বীজ খেতেন।
মহকুমার বিভিন্ন জায়গায় হলুদ রঙের রাধাচূড়া গাছ দেখা গেলেও, গোলাপী রাধাচূড়া খুব কমই আছে। দাসপুর থানার কিসমত খাঞ্জাপুরে একটি গোলাপী রাধাচূড়ার গাছ আছে অনিল বাগের বাড়িতে। যেটি সিকিম থেকে চারা নিয়ে এসে লাগানো হয়েছে। সারা বছর ফুলে ভরে থাকে ১২ ফুট উচ্চতার এই গাছটি।