কুণাল সিংহরায়:ঘাটাল-চন্দ্রকোনা রাজ্যসড়কে বীরসিংহ গামী রাস্তার প্রবেশপথে সিংহডাঙ্গা মোড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় ঝুলছে ওই তোরণটি। ৫১ বছর আগে ১৯৭০ সালে বিদ্যাসাগরের সার্দ্ধশতবার্ষিকীতে স্থাপিত হয় গর্বের এই বিদ্যাসাগর তোরণ। তোরণটির আনুষ্ঠানিক উদ্ধোধন করেন ততকালীন কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডঃ রমা চৌধুরী।
গত কয়েকদিন ধরেই এই অবস্থায় আছে বিদ্যাসাগরের জন্মস্থান বীরসিংহ যাওয়ার আগের এই তোরণটি। স্থানীয়দের আশঙ্কা, তোরণটি ভেঙপে যে কোনও সময় প্রাণহানি ঘটতে পারে যাত্রী বা সাধারণ মানুষের। গতকাল ৪ এপ্রিল বিকালে সামান্য ঝড়েই ভয়ংকর ভাবে দুলতে দেখা গেছে তোরণের ভাঙ্গা টুকরো দুটিকে।তাই স্থানীয় বাসিন্দা থেকে পথচলতি সাধারণ মানুষ চাইছেন, দুর্ঘটনা ঘটার আগেই যেন ব্যাবস্থা নেওয়া হয় এটি সারানোর।
স্থানীয় মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র,গোপাল চক্রবর্তীরা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী-বীরসিংহ সফরে আসার সময় পূর্তদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছিলেন সিংহডাঙ্গা মোড়ে এবং বীরসিংহতে দুটি সুদৃশ্য তোরণ বানানোর জন্য। যে তোরণগুলি দীঘার বিশ্ববাংলা গেটের মত হবে। থাকবে বিদ্যাসাগর ছাড়াও অন্যান্য মনীষীদের তৈলচিত্র। এছাড়াও বীরসিংহ থেকে সিংহডাঙ্গা পর্যন্ত রাস্তাটির আমুল সংস্কার ও পথবাতি লাগানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। স্থানীয়দের অভিযোগ, বীরসিংহ থেকে কাঁচিয়া মোড় পর্যন্ত পথবাতি লাগানো হলেও বাকি পথ আজও অন্ধকারে ঢাকা পড়ে যায় সন্ধ্যা নামলেই।
তাঁরা আরও জানালেন, তখনকার পূর্তদপ্তরের ডিগ্রিডাঙা ডিভিশনের সহকারী বাস্তুকার অমিত চৌধুরী এবং প্রদীপ চক্রবর্তী এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনেকবার এসেও ছিলেন কিন্তু অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি শুধুমাত্র জরিপ করা ছাড়া। ঘাটাল পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি দিলীপ মাজি বলেন,তোরণটি সংস্কারের বিষয়ে প্রশাসন শীঘ্রই উদ্যোগ নেবে।
👆 আমাদের ফেসবুক পেজ এবং ইউটিউব চ্যানেলটি লাইক করুন