তৃপ্তি পাল কর্মকার: সিরিয়াল, গল্প বা টিভির নেশা ছেড়ে দাসপুর থানা এলাকার মেয়ে-বউরা স্বনির্ভরতার লক্ষ্যে ঝুঁকছেন। অবসর সময় পরচর্চা না করে তামার গয়না তৈরির কাজে নেমেছেন। তাই সব বয়সের মেয়েরাই এখন এক একটি গয়না শিল্পী। গৃহবধূ মায়েদের সাহায্য করতে করতেই বাড়ির বাচ্চা মেয়েরাও পড়াশোনার পাশাপাশি এক আধঘণ্টা গয়না তৈরি করতে বসে পড়ে। গয়না তৈরির হাত ধরেই প্রায় প্রতিটি পরিবারে এসেছে বিরাট এক অর্থনৈতিক স্বাবলম্বন। বিশ্বজুড়ে সোনার ঊর্ধ্বমুখী দামের জন্য মানুষের গয়না পরার শখ একদমই কমেনি। বিকল্প সোনার গয়না অর্থাৎ তামার গয়নার চাহিদাই এখন তুঙ্গে। সেই গয়নাই তৈরি করেন দাসপুরে মেয়েরা। •ভিডিও
ঘরের কাজ পাঠ সেরে নেওয়ার পরেও যে সময়টুকু বাঁচে তাতে একটা সময় গৃহবধূরা এর ওর উঠোনে গল্প করে বা সিরিয়াল দেখে সময় কাটিয়ে দিতেন। এতে করে এর ওর বাড়ির কথাবার্তা চালাচালি হয়ে নিত্য ঝগড়া অশান্তি লেগেই থাকত। ছেলে মেয়ে দুটো টাকার জন্য বায়না করলে বাড়ির কর্তার কাছে হাত পাতা ছাড়া উপায় ছিল না। তাও টাকা পাওয়া যাবে কিনা সেটা আবার কর্তার মর্জির ওপর নির্ভর করত। নিজেদের হাতে কাঁচা টাকা থাকার জন্য সে সমস্যা আর নেই। কারোর ওপর নির্ভর করা ছাড়াই গ্রামের মহিলারা এটা ওটা কিনতে পারেন, বাচ্চার বায়নাক্কা সামলাতে পারেন। তামার গয়না তৈরি করে আড়াই থেকে পাঁচ হাজার পর্যন্ত রোজগার করতে পারে গৃহবধূরা। যে মেয়েরা গয়নায় ঝাল দিতে পারে তাদের মজুরিটা আরও বেশি। গয়না তৈরি থেকে গয়নায় ঝাল দেওয়া গয়না তৈরির সব কাজের দক্ষতাই এখন মেয়েদের হাতে। মহিলারা কীভাবে গয়না তৈরি করছেন তা দেখতে পাশের কোডটি স্ক্যান করতে পারেন।