তৃপ্তি পাল কর্মকার: পথ অবরোধ কখনও প্রতিবাদের মাধ্যম হওয়া উচিত নয়। সুস্থ গতিময় সমাজকে ভোগান্তিতে ফেলার জন্যই পথ অবরোধ করা হয়। সব রাজনৈতিক দলগুলি বিভিন্ন সময়ে নানান দাবিদাওয়া দাখিল করার অছিলায় পথ অবরোধ করে। মানুষের ভোগান্তির কথা, উৎকণ্ঠার কথা কেউ ভাবে না বলেই পথ অবরোধ আজও হয় এবং আগামী দিনেও সমান তালে চলবে। অবরোধের কবলে পড়ে ট্রেন বা বাসের মধ্যে তীব্র গরমে ছটফট করে সাধারণ মানুষ। অ্যাম্বুলেন্সের রোগী এগোতে পারে না। গাড়ি এগুচ্ছে না বলে পরীক্ষার্থী কান্নাকাটি শুরু করে। বাড়িতে বাচ্চা রেখে বাইরে আসা মা অসহায় হয়ে চোখের জল ফেলে।
অন্যদিকে, অবরোধে আটকে পড়া মানুষের দুর্ভোগদেখে অবরোধকারীদের তখন আনন্দে আত্মহারা হবার সময়। যত দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের তত যেন আনন্দের পারদ চড়বড়িয়ে উঠতে থাকে। একটা পাশবিক পৈশাচিক উল্লাসে মাতেন তাঁরা।
প্রশ্ন, একটি রাস্তা বেহাল হয়ে যাওয়া, অপরাধী ধরা না-পড়া, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার জন্য ওই দিনকার যাত্রীরা কতটা দায়ী থাকেন? কোন অধিকারে তাঁদেরকে শাস্তি দেওয়া হয়?
অবরোধের মূল উদ্দেশ্য প্রশাসনকে চাপে ফেলে দাবিটি আদায় করা। সেই উদ্দেশ্য পূরণের তো অনেক পথ আছে। তাঁরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অফিসের সামনে গিয়ে ধরনা শুরু করতে পারেন, অনশন শুরু করতে পারেন। আরও একটু আন্দোলনের মাত্রা বাড়াতে সংশ্লিষ্ট আধিকারিককে ঘেরাও করে রাখতে পারেন। তা তাঁরা করতে যাবেন না। কারণ, ওসব করতে গেলে নিজেদের শারীরিক কষ্ট হবে, উল্টো দিকে মানুষকে দুর্ভোগে ফেলে মজা পাওয়া যাবে না।
আমজনতাকে দুর্ভোগে ফেলে রাস্তা অবরোধের মতো হীন এবং সস্তা প্রতিবাদেরই একটা জোরালো প্রতিবাদ হওয়া উচিত। সংবাদ মাধ্যমের উচিত এই ধরণের খবরগুলো বয়কট করা। কোনও ভাবে অবরোধকে প্রশ্রয় না দেওয়া।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।