নিজস্ব সংবাদদাতা: জাতীয় পতাকার রঙের মাস্ক আবার সেই মাস্কের মধ্যেই রয়েছে জাতীয় পতাকার চক্র। এই ধরনের মাস্ক বিক্রি করায় দাসপুর বাজার থেকে তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করল দাসপুর থানার পুলিশ। আজ ১৩ আগস্ট ওই তিন ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দাসপুর থানার ওসি সুদীপ ঘোষাল বলেন, এই ভাবে জাতীয় পতাকার রঙ এব চক্র ব্যবহার করে কোনও কিছু করা যায় না। যদি কেউ করে থাকে সেটাকে জাতীয় পতাকা অবমাননা করা হচ্ছে বলে ধরে নেওয়া হবে। জাতীয় পতাকার অবমাননার জন্যই ওই তিন ব্যসসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ওই তিন ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি জাতীয় পতাকার রঙের বেশ কিছু মাস্কও আটক করা হয়েছে।
দাসপুর থানার পুলিশ জানিয়েছে, শুধু বিক্রি নয়। যারা ওই ধরনের মাস্ক পরে বাইরে বেরোবে তাদেরকও পুলিশ জাতীয় পতাকা অবমাননার জন্য গ্রেপ্তার করবে।
প্রসঙ্গত, ’দ্য প্রিভেনশন অফ ইনসাল্ট অফ ন্যাশনাল অনাস অ্যাক্স, ১৯৭১’ অনুযায়ী ভারতের জাতীয় পতাকার অবমাননার শাস্তি হিসেবে সর্বাধিক তিন বছর অবধি জেল অথবা জরিমানা অথবা দুটোই হতে পারে।
জাতীয় পতাকা ব্যবহারের বিধিনিষেধ—
•যেকোনও ব্যক্তির দ্বারা যে কোনও প্রকাশ্য জায়গা, যেটিকে পাবলিক প্লেস হিসেবে গণ্য করা হয়, এমন কোনও স্থানে জাতীয় পতাকা লাগানো, ছিঁড়ে ফেলা, বিকৃত করা, পা দিয়ে মাড়ানো, মৌখিক বা লেখার আকারে জাতীয় পতাকায় অশ্লীল বা অবমাননাসূচক মন্তব্য লেখা যাবে না।
•জাতীয় পতাকাকে কোনও ব্যবসায়িক উদ্দ্যেশ্যে ব্যবহার করা যাবে না।
•কোনও ব্যক্তিকে স্যালুট জানানোর জন্য জাতীয় পতাকাকে কোথাও ডোবানো যাবে না তরল জাতীয় কোনও পদার্থে।
•জাতীয় পতাকাকে কখনোই পোশাকের অংশ বা পোশাক রূপে ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু পোশাকে লাগানো হলে সেক্ষেত্রে কোমরের নিচে পরা পোশাকের ক্ষেত্রে কাপড় বা প্রিন্ট হিসেবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না।।
•জাতীয় পতাকাকে কোন বালিশ, বা চাদর বা রুমালের বা গামছা বা তোয়ালি বা অন্য কোন কিছুর উপর প্রিন্ট করা যাবে না।
•জাতীয় পতাকার উপর কোনও প্রকার লেখালেখি করা যাবে না।
•জাতীয় পতাকাকে কোনও কিছু ঢাকা দেওয়া ,বা এর ভিতর কিছু নিয়ে যাওয়ার কাজে ,বা কোনও কিছু নেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
•কখনোই জাতীয় পতাকাকে উল্টো ভাবে উত্তোলন করা যাবে না অর্থাৎ গেরুয়া বর্ণ সবসময় উপরের দিকে রেখেই উত্তোলন করতে হবে।
•জাতীয় পতাকাকে কখনোই বক্তৃতা দেওয়ার সময় টেবিল বা অন্য কিছুতে মঞ্চ ঢাকা দেওয়ার কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
•কখনোই ছিঁড়ে যাওয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া পতাকা উত্তোলন করার কাজে বা অন্য কিছু কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
•পতাকা উত্তোলন করা অবস্থায় রাখতে হবে সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।অর্থাৎ রাত্রির আগেই পতাকা উত্তোলন স্থল থেকে নামিয়ে নিতে হবে যথাযথ মর্যাদার সঙ্গে।
•সরকারি নির্দেশ ছাড়া জাতীয় পতাকাকে অর্ধনমিত করা যাবে না।
•রাষ্ট্রীয়স্তরে ও সামরিক ক্ষেত্রে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া ছাড়া জাতীয় পতাকাকে আচ্ছাদনের সামগ্রী হিসাবে জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না।
•এমব্রয়ডারি বা প্রিন্ট হিসেবে বালিশ, তোষক, রুমাল, ন্যাপকিন, অন্তর্বাস সহ যেকোনো পোশাকের উপাদান জাতীয় পতাকাকে ব্যবহার করা যাবে না।
•ইচ্ছাকৃতভাবে জাতীয় পতাকাকে মাটিতে ফেলা বা জলে ভাসানো যাবে না।
•কাগজের তৈরি জাতীয় পতাকা অনুষ্ঠান শেষে যেখানে সেখানে ফেলে দেওয়া যাবে না।
ঘাটাল মহকুমার সমস্ত খবর পেতে আমাদের MyGhatal মোবাইল অ্যাপ ডাউনলোড করুন [লিঙ্ক 👆] এবং ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন[লিঙ্ক 👆]।